৬ মাসে ১০৬ নৌ দুর্ঘটনা, প্রাণহানী ১৫৩
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৫, ২০২০ , ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
গত ৬ মাসে যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে মোট ১০৬টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ১৫৩ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছে। এ সময়ে নিখোঁজ হয়েছে আরো অন্তত ২২ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন নৌপথে এসব প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া গত বছর বড় ধরনের লঞ্চ দুর্ঘটনা না ঘটলে এ বছর ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে।
দু’টি বেসরকারি সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির যৌথ জরিপে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
২৪টি জাতীয় ও ১০টি আঞ্চলিক দৈনিক এবং ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ২৬টি দুর্ঘটনায় ৫৯ জন নিহত হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি। ২৯ জুন সকালে বড় লঞ্চ এমভি ময়ূর-২ এর ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ছোট লঞ্চ এমএল মর্নিং বার্ড নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেখান থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪টি মরদেহ।
জিসিবি এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির জরিপে বলা হয়েছে, গত বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) নৌ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭৬ ও ৭১; যা চলতি বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম।
নিজেদের পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নেমে আসলেও বছরজুড়ে সারা দেশেই বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোট নৌযান দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে লঞ্চের মতো একসঙ্গে অনেক যাত্রী মারা না গেলেও প্রায় প্রতিটি ঘটনায়ই এক বা একাধিক মানুষ নিহত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নৌ চলাচল ব্যবস্থার ওপর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাব, কঠোর তদারকির ক্ষেত্রে ওইসব সংস্থার জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতা, বিপুলসংখ্যক অবৈধ নৌযান চলাচল, দক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভারের স্বল্পতা, দুর্বল আইন ও বিধিমালা এবং বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ার কারণেই নৌ দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা যাচ্ছে না।