দিনের শেষে প্রতিবেদক : ৭ জুন হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাসে বাঁক পরিবর্তনকারী ঘটনা। এই ৭ জুনের ৬ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে ১১ দফা রচিত হয়। আর ১১ দফা আন্দোলনে সারাদেশে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। যারা এই ৭ জুন বা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার আদর্শে তাদের বিশ্বাস নেই। এটাই আজকে কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকের এই দিনে কোনো রাজনীতি নয়। রাজনীতি করার অনেক সময় পাওয়া যাবে। রোববার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারকার ৬ দফা দিবস আমাদের জীবনে এসেছে এক ভিন্নতর প্রেক্ষাপটে। এবার ৭ জুন বর্ণাঢ্য উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালন করার কথা ছিল। যেহেতু এবার মুজিববর্ষের মধ্যে পড়েছে ৭ জুন, কাজেই এবারকার ৭ জুনের তাৎপর্য এবং ব্যঞ্জনা অনেক গভীর। আমরা চেয়েছিলাম এই দিবসটিকে উৎসবের সঙ্গে পালন করার জন্য বর্তমান বাস্তবতার পরিস্থিতিতে সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনা সংকটের নিপতিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করোনা সংকটে জাতির নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সংকটে সাহসী এবং সফল নেতৃত্ব এবং ইতিহাসের অনেক সংকট দুর্যোগের পরীক্ষিত নেতৃত্ব। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে এই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। গোটা জাতিকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করছেন, পরিকল্পনা নিচ্ছেন। প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছেন। একদিকে মানুষকে বাঁচানো অন্যদিকে করোনাকে প্রতিরোধ করা দুটি লড়াই করতে হচ্ছে। একদিকে গরিব খেটে খাওয়ার মানুষকে রক্ষা করা আরেক দিকে করোনাকে প্রতিরোধ করা। এই দুটি চ্যালেঞ্চ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা অগ্রসর হচ্ছেন। এই দিনে দলমত-নির্বিশেষ সকলের কাছে আহ্বান জানাই, এখন রাজনীতি নয়, রাজনীতির করার অনেক সময় আছে, করা যাবে। দলে দলে মত পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু করোনা আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু মোকাবিলায় আমরা যেন বিভেদের ভাইরাস না ছড়িয়ে দেই। করোনাভাইরাস আমাদের সংক্রমিত করছে, আমরা যেন জাতিকে বিভ্রান্তি না করি। আসুন আমরা সংকটের পরীক্ষিত নেতৃত্ব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনাকে প্রতিরোধ করি।