আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ বাউফলে অতিথি পাখি শিকার  : মাংসে হচ্ছে পিকনিক

বাউফলে অতিথি পাখি শিকার  : মাংসে হচ্ছে পিকনিক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :  অতিথি পাখি আগমনের এখন ভরা মৌসুমে থেমে নেই শিকারির দলও। ওই চক্রটি প্রতিদিন বিষটোপ, জাল ও ফাঁদ দিয়ে নানা কায়দায় অতিথি পাখি শিকারে তৎপর থাকলেও প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নেই কোনো নজরদারি। তাদের চরম উদাসীনতায় বাড়ছে অবাধে পাখি নিধন। অতিথি পাখির মাংসে পিকনিক। আর পিকনিকের রান্না-বান্নার ছবিসহ জবাই করা অতিথি পাখির মাংস ও কয়েকটি জীবিত ডাহুকের (পান পায়রা) ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছেন পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউপির এক যুবক। গত শুক্রবার সুমন খান নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এই পোস্ট করা হয়। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আমরা শীতের দিনে পশু (পাখি) শিকার করে পিকনিক খাইতেছি।’ তা টেক করা হয় রাসেল আকন রাজু নামে আরো একটি আইডিসহ দুইজনকে। তবে ফেসবুকে এ পোষ্ট নিয়ে নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন অনেকেই। কেউ লিখেছেন অথিতি পাখি শিকার করা অপরাধ, তার পরে আবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে অনেক বড় অপরাধ  করা হয়েছে। কেউ আবার বিচারও দাবী করেছেন সংশ্লিস্টদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘নদী বেস্টিত উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, ধুলিয়া, কাছিপাড়া এলাকায় এসময় অতিথি পাখির আগমন বেশী থাকে। এসব এলাকায় ঘুঘু, বক, ডাহুকসহ শীতের অতিথি পাখি শিকার হচ্ছে নির্বিচারে। তবে তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতেই শিকারীদের আনাগোনা বেশি থাকে। বিষটোপ, ফাঁদ ও জাল ফেলে শিকার করা হয় পাখি। আবার সুযোগমতো অসাধু শিকারীদের এসব শিকার করা পাখি বেচাবিক্রিও চলে বেশ ভাল দামে। কখনো আবার ফেরি করেও পাখি বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক স্থানীয় সংগঠন সেভ দি বার্ড এ্যান্ড বি’র পরিচালক মন্ডলির এমএ বশার নামে একজন বলেন, ‘অতিথি পাখি শিকার, বেচাবিক্রি দন্ডনীয়। তবে তা মানা হচ্ছেনা। শীত মৌসুমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিথি পাখি নিধনরোধে কোন ধরণের পদক্ষেপ না নেয়ায় মূলত কিছু লোক পাখি শিকারে উৎসাহিত হচ্ছে।  বনবিভাগসহ আইনপ্রয়োগকারী সংশ্লিস্টদের উচিৎ বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে অতিথি পাখি শিকার নিরুৎসাহিত করা।’
এ ব্যাপারে খুলনা অঞ্চলের বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরীর  বলেন, ‘শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চলসহ হিমালয়ের আশপাশের কিছু এলাকা থেকে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে আসে। আবার মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান ওই সব দেশে বরফ গলতে শুরু হয়ে গাছপালা জন্মাতে থাকলে এরা ফিরে যায়। আমাদের উচিৎ এসব অথিতি পাখির নিরাপত্তা বিধান করা এবং শিকারীদের নিরুৎসাহিত করা।’