উল্টো ফেঁসে যাচ্ছেন মাহি!
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১, ২০১৬ , ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নীপা ওরফে মাহিয়া মাহির সঙ্গে শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে শাওনের বিয়ের প্রমাণ হিসেবে কাবিননামা আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালতে এ কাবিননামা উপস্থাপন করেন আসামি শাওনের আইনজীবী মো. বেলাল হোসেন। কাবিননামায় মাহির নাম শারমীন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া দেখানো হয়েছে। তাই চিত্রনায়িকা মাহির বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগে মামলা করা হবে।
বিয়ে সম্পর্কে আইনজীবী আদালতকে জানান, ২০১৫ সালের ১৫ মে মাহিয়া মাহির সঙ্গে পারিবারিকভাবে শাওনের বিয়ে হয়। রাজধানীর বাড্ডার কাজি অফিসের কাজি মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন এই বিয়ে পড়ান। ওই কাবিননামায় দেনমোহর ধরা হয় চার লাখ টাকা। এর মধ্যে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কাবিননামায় মাহির জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর ১৯৯৪ ও শাহরিয়ারের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪। বিয়েতে মাহির উকিল হিসেবে ছিলেন মো. হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় থাকেন।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, শাহরিয়ারের সঙ্গে বিয়ের আগে মাহির আর কোনো বিয়ে হয়নি। তাই বাদিনী মাহি আসামির বৈধ স্ত্রী। এ কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যা কোনো মানহানিকর, অশ্লীল ও উসকানিমূলক নয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অপরাধের আওতায় এটি আসে না। মুসলিম আইন অনুযায়ী স্বামী বর্তমান থাকায় স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। যদি স্বামী থাকা অবস্থায় কোনো নারী আরেকটি বিয়ে করেন, তা ফৌজদারি অপরাধ। বরং মাহি তার বিয়ের কথা গোপন করে গত ২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মোহাম্মদ অপুকে বিয়ে করেন।
গ্রেফতার শাহরিয়ারকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে ফের সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সোহরাব মিয়া। এ সময় শাওনের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত শাহরিয়ারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিয়ের কাগজপত্রও ডিবির তদন্তকারী টিমের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শাহরিয়ারের বাবা গুলশানের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। শাহরিয়ার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী। উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিলেন শাহরিয়ার ও মাহি। ওই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে স্কুলজীবন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শাহরিয়ারের আইনজীবী মো. বেলাল হোসেন জানান, তথ্য গোপন করে মাহি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৫ ধারায় মামলা করা হবে। তবে শাওন আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর এ মামলা করা হবে।
এর আগে, ২৭ মে শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন মাহিয়া মাহি। মামলায় মাহি উল্লেখ করেছেন, আমার পূর্বপরিচিত (বন্ধু) শাহরিয়ার ইসলাম শাওন (২৩), পিতা- নজরুল ইসলাম, মাতা- শিউলি আক্তার, বাসা- ক/১৩, দক্ষিণ বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা তার কাছে থাকা আমাদের কিছু অন্তরঙ্গ স্থিরচিত্র কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে তার সাথে তার বন্ধু হাসান, আল আমিন, খাদেমুল এবং তার খালাতো ভাই রেজওয়ান জড়িত রয়েছে বলে আমার ধারণা। উল্লেখ্য যে, গত ২৫/০৫/২০১৬ খ্রি. তারিখ অন্যত্র আমার বিবাহ সম্পাদিত হয়। এখনো বিবাহ-পরবর্তী অনুষ্ঠান চলছে। এই অবস্থায় আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এবং সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য তারা এসব করছে। ২৮ মে শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২৯ মে রবিবার শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করে ডিবি। গ্রেফতারের সময় ডিবি দক্ষিণ বিভাগ বাড্ডার বাসা থেকে শাহরিয়ারের কম্পিউটার জব্দ করে।