খাবার বিতরণ কর্মসূচি শেষ করলেন খালেদা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১, ২০১৬ , ৯:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে তৃতীয় ও শেষদিনে রাজধানীর ১৪টি স্পটে দুস্থদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করেছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় মহাখালী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে এ দিনের কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। রামপুরার আল আমিন মার্কেটের সামনে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে তিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্ত করেন তিনি। তিনদিনে রাজধানীর মোট ৫৩টি স্পটে দুস্থদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করেন বেগম জিয়া।
শেষদিনে খাবার বিতরণকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম, তাবিথ আউয়াল, মো. সাহাবুদ্দিন, ফেরদৌস আহম্মদ মিষ্টি, ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইয়াছিন আলী, যুবদল নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদল নেতা রাজীব আহসান, মামুনুর রশিদ মামুন, আলমগীর হাসান সোহান, আকরামুল হাসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, মিজানুর রহমান সোহাগ, মেহবুব মাসুম শান্ত, সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
রামপুরার আগে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন খালেদা জিয়া। ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ কাইয়ূমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব এলাকায় খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। ভাটারা নতুন বাজার ১০০ ফিট সড়কে খাবার বিতরণকালে থানা বিএনপি সভাপতি আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, থানা যুবদল সভাপতি সেলিমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখসহ থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর খালেদা জিয়া মধ্যবাড্ডার মোল্লাপাড়া স্পটে যান। সেখানে দুস্থদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এ সময় বাড্ডা থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামসুল হকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, পূর্বাচল তিনশ’ ফিট সংলগ্ন বালু নদীর পাড়ে খাবার বিতরণ করেন খালেদা জিয়া। ডুমনি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আক্তার হোসেনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ খাবার বিতরণ কর্মসূচি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ছোটখাটো একটা সমাবেশে রূপ নেয়। একই অবস্থা দেখা যায় উত্তরা আমির কমপ্লেক্স ও পল্লবীতে অনিক টাওয়ারের সামনে। এসব স্থানে খাবার বিতরণের পাশাপাশি বস্ত্রও বিতরণ করেন খালেদা জিয়া।
পল্লবীতে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন মহানগর বিএনপি নেতা এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও উত্তরায় মহানগর বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন। পল্লবীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক শো-ডাউন হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, মেহেরুন নেছা হক, মাহফুজ হোসাইন খান সুমন, আনোয়ার হোসেন, শেখ হাবিবুর রহমান, বেল্লাল হোসেন চেয়ারম্যান, আলী আহম্মেদ রাজু, আমান হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরায় কর্মসূচি শেষ করে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেরার মুহূর্তে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে একটি মিছিল ওই এলাকা অতিক্রম করে। এই নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দেয়। কিন্তু কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই গাড়িবহর পূর্বাচল তিনশ ফিট এলাকার উদ্দেশে উত্তরা ত্যাগ করে।
এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো, এফডিসি গেইট, কাওরানবাজার প্রগতি টাওয়ারের সামনে, শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড, ন্যাশনাল বাংলা স্কুল (মিরপুর-২), শাহআলী মাজার ও খিলক্ষেতের নিকুঞ্জতে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করেন। প্রতিটি স্পটে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো বেশ চোখে পড়ার মতো।
এর আগে, বেলা সোয়া ১২টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে মহাখালীর উদ্দেশে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। রামপুরায় খাবার বিতরণ শেষে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে বাসভবনে পৌঁছান তিনি।
প্রথম দিন সোমবার খালেদা জিয়া মানিক মিয়া এভিনিউয়ের টিঅ্যান্ডটি মাঠসহ ৩০টি স্থানে এবং দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার খিলগাঁও জোড়াপুকুর মাঠসহ ৯টি স্থানে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে ছিল জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৩৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সামরিক বাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্যের হাতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এ দিনটিকে ‘শাহাদাৎ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।