৩০ অক্টোবরকে কর দিবস ঘোষণা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ৮:৪৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: ৩০ অক্টোবরকে কর দিবস ঘোষণা করে ওই সময়ের মধ্যে আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট বক্তৃতায় তিনি কর দিবস ঘোষণা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কোম্পানি ব্যতিত অন্যান্য করদাতার জন্য রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রতিবছরই করদাতাদের আবেদনে এই সময় বাড়ানো হয়। কখনো কখনো রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ একাধিকবার বর্ধিত হয়। করদাতারা প্রতিবছরই সময় বাড়বে ধরে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল থেকে বিরত থাকেন। এর ফলে কর নির্ধারণ ও রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে এতে রিটার্ন জমার সর্বশেষ সময়সীমা সংক্রান্ত আইনি বিধানটি গুরুত্ব হারাচ্ছে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই রিটার্ন জমার জন্য অপরিবর্তনীয় দিবস থাকার উদাহরণ দিয়ে মুহিত বলেন, ‘আমি প্রস্তাব করছি যে, বাংলাদেশেও রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি অপরিবর্তনীয় ডেডলাইন থাকবে; যা কর দিবস নামে অভিহিত হবে। সাধারণভাবে ৩০ অক্টোবর হবে কর দিবস। তবে ৩০ অক্টোবর সরকারি ছুটির দিন হলে কর দিবস হবে তার পরবর্তী কার্যদিবস।’
কর দিবস প্রবর্তনের ফলে দেশের কর পরিপালন সংস্কৃতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশে বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) নাগরিকের সংখ্যা ১৮ লাখ হলেও রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ১২ লাখ বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। রিটার্ন দাখিলের এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশে কর-জিডিপির অনুপাতে (১০.৩) অসন্তুষ্ট অর্থমন্ত্রী এই অনুপাত এই সরকারের মেয়াদ শেষ নাগাদ ১৫.৩ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করেন। করদাতার সংখ্যা অত্যন্ত লজ্জাকর। আমাদের লক্ষ্য করদাতার সংখ্যা ১২ লাখ থেকে আগামী বছরই ১৫ লাখে উন্নীত করা।
আয়করকে ‘সর্বোত্তম কর ব্যবস্থা’ উল্লেখ করে মুহিত বলেন, এতে আয়ের অনুপাতে করহার বৃদ্ধি পায়। এক সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই উৎস থেকে আদায় করত ১০ শতাংশের কম। বর্তমানে এই উৎস থেকে আদায়ের পরিমাণ ৩৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।