প্যাকেটজাত বা টিনজাত খাবার কতদিন ভালো থাকে?
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৫, ২০১৬ , ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা,স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা লীড
অনলাইন স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্যাকেটজাত বা টিনজাত ভোজ্য পণ্যগুলোর গায়ে যে তারিখগুলো লেখা থাকে সেগুলো অনুযায়ী পণ্য বিক্রি, ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা হয়। পণ্যের গায়ে লেখা সেল বাই ডেট, বেস্ট ইউজড বাই ডেট বা অন্যান্য তারিখগুলো নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। কোন তারিখের কী অর্থ তা জানা জরুরি। আবার কোন তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও খাদ্যপণ্য ব্যবহার করা নিরাপদ তাও জেনে রাখা প্রয়োজন।
সেল বাই ডেট – পণ্যের প্যাকেটের গায়ে যখন সেল বাই ডেট লেখা থাকে, এর অর্থ হচ্ছে- পণ্যটি ওই তারিখের মধ্যে বিক্রি করতে হবে। এটি বিক্রেতাদের জন্য প্রযোজ্য। তারা এই তারিখের মধ্যে পণ্যটি বিক্রি করবে। কিন্তু অাপনি যখন পণ্য কিনবেন তা এক্সপায়ার ডেট দেখে কিনবেন। সেল বাই ডেট মূলত কোয়ালিটি টাইম। অর্থাৎ, এই তারিখের মধ্যে পণ্যটি ব্যবহার করলে তার স্বাদ তাজা ও অটুট থাকে। কিন্তু সেল বাই ডেট উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও পণ্যটি নষ্ট হবে না, তা খাওয়া নিরাপদ।
বেস্ট ইউজড বাই ডেট – এ তারিখ পণ্যের মান নির্ধারণ করে। বিশেষ করে ফ্লেভার। উল্লেখিত বেস্ট ইউজড বাই তারিখের মধ্যে ব্যবহারে পণ্যের ফ্লেভার অটুট থাকবে। তবে এই তারিখ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তা নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে। শুধু স্বাদ অটুট থাকবে না।
বর্ন অন ডেট- বর্ন অন ডেট মানে হচ্ছে, উল্লেখিত তারিখে পণ্যটি তৈরি হয়েছে। এ ধরনের তারিখ উল্লেখ থাকলে একটু পড়ে দেখুন, পণ্যের গায়ে তা কতদিন ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তিনমাস, ছয়মাস বা একবছর। অর্থাৎ, বর্ন অন ডেট থেকে তিনমাস, ছয়মাস বা এক বছর পণ্যটি ব্যবহার করা যাবে।
গ্র্যান্টেড ফ্রেশ – সাধারণত বেকারি আইটেমগুলোতে এ তারিখ উল্লেখ থাকে। তারিখ শেষ হয়ে গেলেও তা খাওয়ার উপযোগী। তবে সেরা ফ্রেশনেস থাকবে না।
ইউজ বাই- পণ্য প্রস্তুকারকরা এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এ তারিখের মধ্যে পণ্যটির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করুন। এরপর আর নিরাপদ থাকবে না।
প্যাক ডেট – টিনজাত বা প্যাকেটজাত পণ্যের উপর একটি করে কোড লেখা থাকে। এটি একটু কৌশলী। তারিখটি মাস-দিন-বছর হিসাবেও লেখা থাকতে পারে। আবার জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের তারিখের হিসেবেও লেখা থাকে কখনও। সেক্ষেত্রে বোঝা একটু কষ্টকর।
প্যাকেট বা টিনজাত পণ্য কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যাবে?
কিছু জিনিস একটু একটু মনে রাখুন-
• দুধ- সেল বাই ডেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক সপ্তাহ ভালো থাকে।
• ডিম- সেল বাই ডেটের আগে কিনলে তা তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ ভালো থাকবে। এক সপ্তাহ পর এর গুণগত মান কমে যায়, তবে খাওয়ার উপযোগী থাকবে।
• পোল্ট্রি বা সি-ফুড কেনার এক-দু’দিনের মধ্যে রান্না করে ফেললে ভালো। তবে বরফ করেও ভালো রাখা যাবে।
• গরুর মাংসের গুণগত মান ঠিক থাকে তিন থেকে পাঁচ দিন। তবে রান্নার পর সংরক্ষণ বা ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়।
• অতিমাত্রার ক্ষারজাতীয় খাবার যেমন টমেটো সস ১৮ মাস বা তার বেশি রাখা যায়। তবে লো-এসিডযুক্ত মটরশুটির চেয়ে বেশি সময় অব্দি ভালো থাকে।
VanLaanen, EdD, RD টেক্সাসের টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বলেন, টিনজাত ও ড্রাইফুড ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় শুষ্ক, ঠাণ্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখা উচিত। কারণ আর্দ্রতায় খাবার নষ্ট হয় বা মান কমে যায়।
অন্যদিকে, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) নোটে বলা হয়েছে, যদি গুদামঘরের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করে তাহলে খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও রঙ খুব দ্রুত বদলায়। তবে এমন অবস্থায় খাবারের মেয়াদোত্তীর্ণ না হলেও খাবারটি বর্জন করা উচিত।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।