Warning: file_put_contents(/data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/data/districts.json): failed to open stream: Permission denied in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/covid-19-bd-live.php on line 103
প্রতারণার মামলা দুদক থেকে ফিরল পুলিশের কাছে - Diner Sheshey প্রতারণার মামলা দুদক থেকে ফিরল পুলিশের কাছে - Diner Sheshey
Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 124
আজকের দিন তারিখ ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় প্রতারণার মামলা দুদক থেকে ফিরল পুলিশের কাছে

প্রতারণার মামলা দুদক থেকে ফিরল পুলিশের কাছে


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ১:৪৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


Parlamentকাগজ অনলাইন প্রতিবেদক:  প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার তদন্তভার দুদকের হাত থেকে পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।

সংসদ কাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বৃহস্পতিবার সংসদে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬’ পাসের প্রস্তাব করেন।

গত ২২ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলেন তিনি। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ফখরুল ইমামের দেওয়া দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির সদস্যদের অন্যান্য সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

বিলটি পাস হওয়ায় সরকারি সম্পত্তি সম্পর্কিত এবং সরকারি ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতি মামলা ছাড়া অন্যান্য প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার দায়িত্ব পুলিশ পাবে।

তবে সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার ভার দুদকের হাতেই রাখার বিধান রাখা হয়েছে।

২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ ও অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গের মতো বিষয়গুলো দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের তালিকায় ছিল।

২০০৯ সালে মুদ্রা পাচারের অভিযোগও দুদকের তফসিলে যুক্ত হয়। আর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এক সংশোধনীতে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯ ও ৪৭১ ধারার অপরাধ তদন্তের দায়িত্বও দুদকের ওপর বর্তায়।

এই ধারাগুলোর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগ ৪২০ ধারার অন্তর্ভুক্ত। অন্যগুলো ব্যক্তিগত অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার ধারা।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত এসব ধারার মামলাগুলোর তদন্ত করত পুলিশ; বিচার চলত হাকিম আদালতে। কিন্তু ‘ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধগুলোর বিচারের এখতিয়ার জেলা জজ আদালতের হাতে চলে যায়। আর জজ আদালতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এসব মামলার বিচারকাজে তৈরি হয় দীর্ঘসূত্রতা।

আইন সংশোধনের পর পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই ৪২০ ধারার মামলা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এখতিয়ার না থাকার কথা বলে অভিযোগকারীদের দুদকে যাওয়ার পরামর্শ দিতে থাকে তারা।

অন্যদিকে লোকবলের অভাবের কথা বলে দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত না করায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মামলা নিয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা।

সারা দেশে এরকম কত অভিযোগ দুদকে আটকে আছে সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে তদন্তের জন্য দুদক কার্যালয়ে পাঠানো জাল-জালিয়াতির অভিযোগের সংখ্যা গত দুই বছরে ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে কর্মকর্তাদের তথ্য।

সংসদে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “সংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০১৪ এর তফসিলভুক্ত ‘দ্য পেনাল কোড-১৮৬০’ এর কতিপয় ধারা পূর্বের ন্যায় পুলিশ কর্তৃক তদন্তযোগ্য এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হওয়ার বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

“সেইক্ষেত্রে মামলার নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ এর সুফল লাভ করে বলে আশা করা যায়।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “এছাড়া এই সংশোধনীর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর অধীন কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতাভুক্ত হবে। যার ফলে এই জাতীয় মামলাগুলোর তদন্ত অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করা যাবে।”


Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 130