আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় রাজাকার-আলবদরদের ক্ষমতায়িত করেছিলেন জিয়া

রাজাকার-আলবদরদের ক্ষমতায়িত করেছিলেন জিয়া


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ২:৪৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


Sharif-কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর রাজনীতিতে সব চেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাজনীতি কঠিন করে তুলেছিলেন। আর বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজাকার আলবদরদের ক্ষমতায়িত করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে কেয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭৫ পরবর্তী সবচাইতে সুবিধাভোগী লোক ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি ষোষণা করে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বললেন, আমি জিয়া বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবো। হ্যাঁ তিনি সফলভাবেই কাজটি করেছিলেন। ৭৫’ পরবর্তী রাজনীবিদদের জন্য তিনি রাজনীতিকে কঠিন করেই তুলেছিলেন। তখন নীতিবান আর আদর্শ রাজনীতিবিদদের তিনি জেলে ঢুকিয়ে ছিলেন।

আর তিনি (জিয়া) যে রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন তা হলো অর্থ আর পেশীশক্তি। এগুলো দিয়েই তিনি ৭৫ পরবর্তী রাজনীতির বলয় তৈরি করেছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজাকার আলবদরদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন। এই দুঃখ-বেদনা জাতি হিসেবে সারা জীবন আমাদের বহন করতে হবে। ওই সময় আওয়ামী লীগের যারা নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তাদেরকে জেল হাজতে ঢুকিয়ে ছিলেন জিয়া। এরকম একটি দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের সন্তান আমি। আমার বাবাকে জেল হাজতে নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করার জন্য। এখনো অনেক সদস্য গভীর ভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন সেই দুসময়ে কথা।

বঙ্গবন্ধুর অসামাপ্ত আত্মজীবনীর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে কেয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা এবং কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে নিয়ে কখনো দেশ গড়ার কাজে নামতে নেই। এতে করে জনগণের সুফলের চেয়ে সর্বনাশই বেশি হয়। বঙ্গবন্ধু সেদিন যথার্তই বলেছেন এর প্রত্যক্ষ ফল দেখেছে বাংলাদেশে। ৫২ দিনের অগ্নিসংযোগ হরতালের নামে মানুষ পোড়ানো। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে সেখানে থেকে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

দেশের মানুষ তাদের সেই কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ হরতাল হচ্ছে ‘হাওয়াই মিঠাই এর মতো’। হাওয়াই মিঠাই যেমন দেখা যায় কিন্তু মুখে দিলে বিলীন হয়ে যায়। ঠিক একই রকম এখন হরতাল।

কেয়া চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের চ্যালেঞ্জ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে। অতীতেও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখন ষড়যন্ত্র হচ্ছে যারা বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি বেঁচে আছেন, তাদের ওপর বিভিন্ন ধরণের প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ‘জয়’ এর বিরুদ্ধে বিএনপির মাধ্যমে সারা বিশ্বে মিথ্যা প্রপাগান্ডা প্রচার করারের চেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মিথ্যা দিয়ে বেশি দূর যাওয়া যায় না।

নারী ও তরুণ উদ্যেক্তাদের জন্য পৃথক দু’টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে কেয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ৪৯ শতাংশ মানুষ ২৪ বছরের নিচে। তরুণ এবং নারী উদ্যেক্তাদের জন্য পৃথক ব্যাংক দরকরা এজন্য তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর কর আরোপ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদ্য অ্যাডভোকেট জিল্লুল হাকিম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে পদ্মার ভাঙন রোধে পানি সম্পদ মন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বাজেটের ওপর আরো আলোচনা করেন সোহরাব উদ্দিন, মীর মোশতাক আহমেদ রবি, ড. শামসুল হক ভূইয়া, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, উম্মে কুলসুম স্মৃতি ।