কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন প্রণয়নের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এটি বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলবে, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করবে, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবে এবং যারা একাত্তরের অত্যাচারী খুনি গণহত্যাকারীদের পক্ষে কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইন প্রণয়ন করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার আওয়ামী লীগ ব্যতীত প্রতিটি সরকারই বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করেছে।

মন্ত্রী বলেন, পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি পাক-বাহিনীর এরূপ ঘৃণ্য বর্বরতাকে কখনো ভুলবে না।

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মোছা. সেলিনা জাহান লিটার অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক যে সকল নারীরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন সে সকল বীরাঙ্গনাদের অবিস্মরণীয় রাখার জন্য তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সম্মানিভাতা প্রদান ও বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।