জঙ্গি দমনের নামে বিরোধী দল দমনের আশঙ্কা: মির্জা ফখরুল
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১০, ২০১৬ , ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযানের নামে সরকারবিরোধী দলের ওপর চড়াও হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলমাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সাঁড়াশি অভিযানের কথা বলে ইতোমধ্যেই ক্রসফায়ার বা তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বেড়ে গেছে। ৯ জন ইতিমধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ভেরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমানকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ফখরুল। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের কাছে থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
গত ২ জুন ইউনিয়ন পরিষদের শেষ ধাপের নির্বাচনের দুইদিন আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত তিনি। আহত আজিজকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত দুইদিন আগে অস্ত্রোপচারের পর তার বাম পা কেটে ফেলা হয়।
শেষ ধাপের নির্বাচনে আজিজ ভেরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা (সাঁড়াশি অভিযান) হচ্ছে তাদের সেই কৌশল, যেই কৌশল করে তারা এখানে জনগণের আন্দোলনকে দমিয়ে রেখেছিল। আজকে এই সাঁড়াশি অভিযানের অজুহাতে তারা আবারও বিরোধী দলের ওপর চড়াও হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
আজিজুর রহমানের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আজিজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছিল। আল্লাহর সহায়, তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রিয় মানুষ। সেজন্য তাকে এভাবে গুলি করার পরও এলাকার জনগণ তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই ঘটনা থেকে আমরা সারাদেশের চিত্র পাই যে, দেশে আজ কোথাও কোনো আইনের শাসন নেই্। জীবনের নিরাপত্তা নেই। বিশেষ করে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে সহিংসতা হয়েছে, অতীতে আর কখনো তা ঘটেনি। এটা নজিরবিহীন।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এটার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঘোলা পানিতে তারা তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়।’
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, গাইবান্ধা জেলা সহ-সভাপতি মো. হাসান আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।