সারা দেশে দুই দিনে গ্রেফতার ৫৩২৪
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ১:০৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////,জাতীয়
কাগজ অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীসহ সারা দেশে জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলেও এরই মধ্যে গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলমান অভিযান কোনোভাবেই শুধুমাত্র জঙ্গি আটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করছে, তাদের নেতা-কর্মীদেরও আটক করা হচ্ছে বিভিন্ন অজুহাতে। অনেককে আটকের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, টাকা না পেয়ে পেন্ডিং মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেককেই। পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রথম দুই দিনে জঙ্গিসহ মোট পাঁচ হাজার ৩২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের সংখ্যা ৮৫। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, অভিযানকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক নয়। অভিযান সুনির্দিষ্ট অপরাধীদের মধ্যেই রাখা উচিত। বিশেষ করে জঙ্গিদের ব্যাপারে জিরোটলারেন্স থাকতে হবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে। আবার অকারণে কোনো নিরীহ মানুষ যাতে গ্রেফতার না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে কোনোভাবেই যাতে গ্রেফতার বাণিজ্য না হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের উপ-মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, গ্রেফতার বাণিজ্য হচ্ছে এটা ঠিক নয়। বেশির ভাগ আসামিকে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোও হয়েছে। তারা ওয়ারেন্টভুক্ত ছিল। বিশেষ অভিযানে পুলিশ সদর দফতরের নিবিড় মনিটরিং রয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযান অবশ্যই কঠোর হতে হবে। অভিযান যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রতিশোধের জন্য না হয়। তবে স্পর্শকাতর এসব অভিযানে পুলিশ সদর দফতরের কঠোর মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। নইলে অপারেশনকে কেন্দ্র করে অসৎ সদস্যদের নানা ধরনের অনিয়ম এবং অন্যায় কর্মকাণ্ডের দায়ভার নিতে হবে পুলিশ বাহিনীকে। অভিযোগ উঠেছে, রমজানের শুরুতে বিশেষ করে ঈদের আগে শুরু হওয়া এই অভিযান অসৎ প্রকৃতির এবং দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য অনেকটা মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। নিরীহ এবং সহজ সরল মানুষকে ধরে নিয়ে এসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিদের জানানো হচ্ছে, কোনোভাবে এ বিষয়টি লিকড হয়ে গেলে তাদের ক্রসফায়ারে দেওয়া তবে। ঝিনাইদহ সদর থানা এবং যশোরে এমন কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভুক্তভোগীদের কেউই তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশে রাজি নন। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তৃতীয় দিন পর্যন্ত পুলিশি অভিযানে বিএনপিরই মাঠ পর্যায়ের অন্তত দুই হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরে পেন্ডিং মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। এটা আদালত অবমাননার শামিল। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ‘ঈদ বকশিশের’ জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপিও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। আমরাও চাই জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, এটা ঠিক নয়। বিএনপির পাশাপাশি অনেক নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে ছেড়েও দেওয়ার অভিযোগ আছে। এ ধরনের অভিযান বন্ধ করা উচিত। নিরীহ মানুষকে হয়রানির অধিকার কারও নেই। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ধরনের অভিযান আগেও হয়েছে। কিন্তু কতটুকু সফল হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আগাম ঘোষণা দিয়ে অভিযান চালানো হলে জঙ্গিরা আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ আগেও ছিল, এখনো আছে। বিনা বিচারে সাধারণ মানুষকেও হয়রানি করা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এ অভিযান চালাতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো বলেন, সাধারণ মানুষকে গ্রেফতারের নামে হয়রানি করা ঠিক হবে না। আর বিএনপি নেতা-কর্মীদের সবাই জঙ্গি এটাও ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একজন জঙ্গিকেও ছাড় দেওয়া হবে না। আমিও একমত। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুলিশ সফল হয়েছে বলে মনে হয় না।
অভিযান নিয়ে সারা দেশ থেকে আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
চট্টগ্রাম : জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে ২২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ১১ জন জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার রয়েছে। শনিবার রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, বিভিন্ন থানা এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২২০ জনকে আটক করা হয়। রাজশাহী : চার জেএমবি ও ১৩ ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীসহ ১৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত নগরীর চার থানা এলাকা ও জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। রংপুর : এক জামায়াত কর্মীসহ ৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে অভিযানের তিন দিনে তিন জামায়াত-শিবির কর্মীসহ ৩০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরিশাল : শনিবার রাতে বরিশাল মহানগরের ৪ থানা এলাকা থেকে ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ দিন জেলার ১০ থানা পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। নগরীর ৪ থানা এলাকায় আটককৃত ২৯ জনের মধ্যে তিনজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী। নোয়াখালী : অভিযানের তৃতীয় দিনে এক জঙ্গিসহ ৫৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে একজঙ্গি ও শিবিরের নেতা-কর্মীসহ ৫৯ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে জেলার চাটখিল উপজেলার বদলকোর্ট ইউনিয়নে সন্ত্রাসী আবদুল মালেককে (৩৫) অস্ত্র গুলিসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে বদলকোর্ট ইউনিয়নের মেকারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মালেক ওই ইউনিয়নের মেকারচর গ্রামের আতিক উল্যার ছেলে। ফেনী : পুলিশ ফেনীর চার উপজেলা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে দুজন শিবির ও দুজন জামায়াত কর্মী। গাজীপুর : জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে দুই যুবককে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, সুইচ গিয়ার চাকু ও হাতুড়িসহ চান্দনা চৌরাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর থানার ফাইলজানা গ্রামে। গ্রেফতারকৃতরা হলো লিয়াকত হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন (২০) ও তাইজুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫)। গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সাত উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এক জেএমবি সদস্যসহ বিভিন্ন মামলার ৩৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের চকশেবপুর গ্রাম থেকে গতকাল ভোরে আল আমিন (২৫) নামে জেএমবির এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক নাশকতার অভিযোগ ও মামলা আছে। জামালপুর : গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর শহর জামায়াতের সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, জেএমবি সদস্য আক্তারুজ্জামান সুরুজসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যশোর : জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীসহ ৮৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, শনিবার রাতভর যশোরের ৯টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে জামায়াত ও শিবিরের ১৮ জন এবং বিএনপির চারজন রয়েছেন। অন্যরা নিয়মিত মামলার আসামি।
বাগেরহাট : পুলিশ ৯টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি, জামায়াত কর্মী ও বিভিন্ন মামলায় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা বলেন, অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলার সন্দেহভাজন বিএনপির দুজন ও জামায়াতের এক কর্মীসহ বিভিন্ন মামলায় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাঙ্গাইল : বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তৃতীয় দিনে এক জেএমবি সদস্যসহ ৬৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম খান জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত বিভিন্ন মামলার আসামি ও সন্দেহভাজনসহ ৬৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
মেহেরপুর : জেএমবি ও জামায়াত সদস্যসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তিনটি থানা এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে এদের গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, গাংনী উপজেলার রংমহল গ্রামের জেএমবি সদস্য আবু তালেবকে গত রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়াও জামায়াতের একজন, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তিনজন ও নিয়মিত মামলার আসামিসহ মোট ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। মৌলভীবাজার : জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ সুমনসহ (৩২) বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে বড়লেখা উপজেলার পাকশাই এলাকার একটি মসজিদ থেকে শিবির সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়। সিরাজগঞ্জ : পাঁচ জামায়াত নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন মামলার ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ জামায়াত নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ৩৯ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। পঞ্চগড় : অভিযানে ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক, দুই জেএমবি ও তিন শিবির কর্মীসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেএমবির দুই সদস্য খুটামারী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জলের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (২৯) এবং খুটামারী কামাতপাড়া গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে আয়নাল হক (৩০)-কে গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশ বোদা উপজেলা থেকে দুজন ও দেবীগঞ্জ উপজেলা থেকে একজন শিবির কর্মীকে আটক করেছে। বগুড়া : বগুড়ায় পুলিশ ৮৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৫ জন জেএমবি সদস্য, ৮ জন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী রয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত অভিযানে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অভিযানের তৃতীয় দিনে ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জেএমবি সদস্য শামীম মিয়াকে (৫০) তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুল খালেককে (৫০) গ্রেফতার করা হয়। শহরের মধ্যপাড়া থেকে মোমিন মিয়াকে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) আবদুল কাইয়ুম জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি রয়েছে। নীলফামারী : জেএমবির এক সদস্যসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার জেএমবি সদস্য আমজাদ হোসেন (৪৫) জলঢাকা শহরের ডাঙ্গাপাড়া মহল্লার আফতাব উদ্দিনের ছেলে। গতকাল আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহ : সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের চাপড়ী গ্রামে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিস্তল ও গুলিসহ নাজমুল গাজী (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত নাজমুল গাজী একই উপজেলার ইস্তেফাপুর গ্রামের রওশন গাজীর ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সদর মডেল থানা পুলিশ শাহীন (২৬) নামে তালিকাভুক্ত জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। ভালুকা : ভালুকায় জেএমবি সন্দেহে রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকসহ (৫৫) সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
এ ছাড়া নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৩ জন জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতা-কর্মীকে, কিশোরগঞ্জ পৌর জামায়াত আমির সানাউল্লাহ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সময়ে লালমনিরহাটে ৩১ জন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শাহ্ মো. রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ নামের এক জামায়াত কর্মী, নওগাঁয় ছয় জেএমবি সদস্যসহ ৮৭ জন, আমতলী ও তালতলী থানা পুলিশ ২৬ জন, দিনাজপুরে ৬৫ জন, মানিকগঞ্জে সাতজন, লক্ষ্মীপুরে ৩৭ জন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে জেএমবি সদস্য মুখলেছুর রহমানকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।