আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব, সারাবিশ্ব লীড লিবিয়ায় হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩

লিবিয়ায় হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ৩:৩৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড


3অনলাইন আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ার উপকূলীয় শহর সির্তের একটি ফিল্ড হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার চালানো এই হামলায় আরো সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র। সির্তে বন্দরের মূল লড়াই থেকে ৩০ মাইল দূরত্বে হাসপাতালটি অবস্থিত।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আরও দুইজন ব্যক্তি সির্তের মেডিকেল সেন্টারের বাইরে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা চালালেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি লিবিয়ার ঐক্যমতের সরকারের অনুগত বাহিনীগুলো ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ঘাঁটি বন্দর শহর সির্তে পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে। উত্তর আফ্রিকায় আইএসের এই শক্তিকেন্দ্রটিতে গত শুক্রবার আরও সফলতা পাওয়ার পর সরকারি বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায়।

প্রধানত মিসরাতার যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত সরকারি বাহিনীর ব্রিগেডগুলো গেল মাসে আইএসের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে। চলতি সপ্তাহে তারা সির্তের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে।
বাহিনীটির অগ্রগতির কারণে আইএসের যোদ্ধারা সির্তে-মিসরাতার মধ্যবর্তী উপকূলীয় সড়কটি থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।

অভিযানটির মিসরাতার নিয়ন্ত্রণকক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছে, শহরটির দক্ষিণ দিকে থাকা সরকারি বাহিনীর যোদ্ধারা শহরটিকে ঘিরে ফেলে বন্দর পুনরুদ্ধারের উদ্দেশে সাগরতীরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে বন্দরটি পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে।

আত্মঘাতী বোমা হামলা, মাইন ও দূরলক্ষ্যভেদীদের গুলির মুখেও সরকারি ব্রিগেডগুলোর অগ্রগতি অনেকের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। মে’র প্রথমদিক থেকে সির্তে পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করে জিএনএ সমর্থিত ব্রিগেডগুলো। এই অভিযানে এ পর্যন্ত জিএনএ সমর্থিত ব্রিগেডগুলোর একশরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন পাঁচশরও বেশি।

উল্লেখ্য, লিবিয়ার অস্থিতিশীলতার সুযোগে ২০১৪ সালে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করে আইএস। এরপর থেকে দেশটিতে সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যায়। গেল বছর সির্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় আইএস। কিন্তু দেশটির অন্যান্য জায়গায় নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা ধরে রাখতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে। সির্তে ছাড়া লিবিয়ার অন্য কোথাও কোনো ধরনের সমর্থনও পায়নি গোষ্ঠীটি। সূত্র:রয়টার্স।