করোনা সংকট নিরসনে সরকার ও গণমাধ্যম এক হয়ে কাজ করবে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৩০, ২০২০ , ২:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: Uncategorized
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা সংকট নিরসনে সরকার ও গণমাধ্যম আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে এক সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার তথ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে নিউজ পেপারস ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব), সম্পাদক পরিষদ ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) ও এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন। নোয়াবের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এর সভাপতি এ কে আজাদ, নির্বাহী সদস্য মতিউর রহমান ও তারিক সুজাত। সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে ছিলেন এর সভাপতি মাহফুজ আনাম, সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম। অ্যাটকো’র পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি ও এটকোর সিনিয়র সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবুও এই বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় কী করে সংকট নিরসন করা যায়। একইসঙ্গে আলোচনা হয় সরকার ও গণমাধ্যম যৌথভাবে কাজ করে কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে পারে। এই দুর্যোগ নিরসনে সরকার ও গণমাধ্যম একইসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, সার্বিকভাবে জনমনে গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তাই সরকার ও গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করবে। বৈঠকে উপস্থিত গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ সবাই এই সংকট নিরসনে একজোট হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে গুজব প্রতিকারে সকলে দৃঢ় ভূমিকা রাখবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গুজব প্রচারকারী ভুয়া নিউজপোর্টালগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দ এসব আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ও গুজব প্রচারকারী ভুয়া পোর্টালেগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি একমত পোষণ করেছেন। অতীতে যেমন মূলধারার গণমাধ্যম গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা রেখেছিল বর্তমানেও সেটি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা। মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক বলেই মূল ধারার গণ্যমাধ্যম নেতৃবৃন্দ নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তারা সবাই একমত প্রকাশ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই সংকটময় সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পত্রিকাগুলোর সার্কুলেশন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সংবাদকর্মী ও সংবাদ বিপণনকর্মী তথা হকাররা এ কারণে বড় সংকটে পড়েছে। টেলিভিশনগুলোতেও নানাবিধ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সংকট নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এ সময় মন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় নিয়ে আলাপ করেন। গণমাধ্যমগুলো যেসব সরকাররি বিল পাবে সেগুলো দ্রুত প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেন ড. হাছান মাহমুদ।