থমকে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা : আবারো বাড়ল চালের দাম, কমেছে সবজির দাম
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১, ২০২০ , ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : থমকে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। টানা ছুটি আর ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার বিধিনিষেধে কর্মহীন হয়ে পড়েছে রাজধানীর স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খুচরাবাজারে আবার নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি চাল দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের দৈনন্দিন বাজারদরের তালিকায় দাম বাড়ার তথ্য তুলে ধরেছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, দুই টাকা বেড়ে পাইজাম/লতা ৫০ থেকে ৫৬ টাকা ও দুই টাকা বেড়ে ইরি/স্বর্ণা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে কেনাকাটার জন্যই চালের দাম বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর বাবুবাজারের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কতদিনে কাটবে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে। ফলে বেশির ভাগ মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল কিনছে। তাই দাম বেড়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, চাহিদা বাড়ায় এক শ্রেণির অসত্ ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে রাজধানীতে বেশি দামে চাল বিক্রির অপরাধে অসত্ ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হয়। এদিকে গতকাল বাজারে চালের পাশাপাশি আটা, আদা, রসুন, মসুর ডাল, সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। খোলা আটা কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৩০ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি দানা মসুর ডাল কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা ও বড়ো দানা মসুর ডাল পাঁচ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোটো দানা মসুর ডাল মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হয়। প্রতি কেজি আমদানিকৃত আদায় ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও দেশি আদা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল তিন টাকা বেড়ে ৯৩ থেকে ৯৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষরা। তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি হলো সবজির দাম কমতির দিকে। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে আলু ২৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন, করল্লা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টম্যাটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচুরলতি ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।