আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ বগুড়ার বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক থেকে নামিয়ে দেয়া দিনমজুর শাহ আলমের শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে

বগুড়ার বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক থেকে নামিয়ে দেয়া দিনমজুর শাহ আলমের শরীরে করোনার নমুনা পাওয়া গেছে


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৫, ২০২০ , ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বগুড়া প্রতিনিধি : ঢাকা থেকে ট্রাকে রংপুরে বাড়ি যাওয়ার পথে বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়া দিনমজুর শাহ্ আলমের শরীরে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রংপুরের ধাপ মডার্ন মোড়ের শাহ্ আলমের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাব থেকে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। পরে অধিকতর নিশ্চিত হতে তার শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। সেখান থেকে শনিবার রাতে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এটিএম নুরুজ্জামান আরও জানান, পাঠানো রিপোর্ট অনুসারে দুদিন আগে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মৃত শিশু সিয়ামের (১৩) শরীরে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শাহ্ আলম গত ২৮ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে ট্রাকে রংপুরের বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অন্য যাত্রীরা তার শ্বাসকষ্ট ও কাশি টের পেয়ে চিৎকার করেন। ট্রাকটি ২৯ মার্চ ভোরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে চালক ও হেলপার তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের আইসিইউতে পাঠানো হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১ এপ্রিল তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ওই দিন তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রামেক হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। পর দিন সেখান থেকে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি প্রকাশ করেননি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নির্দেশে তাকে আলাদা রাখা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধানসহ পাঁচ চিকিৎসক, আট নার্সসহ ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। ৪ এপ্রিল রাতে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন শাহ্ আলম করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে ঘোষিত রোগীর মধ্যে শাহ্ আলম ছিলেন। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, আইসোলেশনে কর্মরত সবাই পিপিই পরিহিত অবস্থায় শাহ্ আলমের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাই এখানে কাউকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।