বিসিআইসির কারখানা ও গুদাম মজুদ আছে ৯ লাখ টনের বেশি ইউরিয়া সার
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৫, ২০২০ , ৭:০২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া সারের মজুদ আছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, করপোরেশনের সার কারখানা ও গুদামগুলোয় মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। যেখানে গত বছরের একই সময়ে মজুদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৫ টন। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউরিয়ার মোট চাহিদা ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন। যার মধ্যে প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টন সার এরই মধ্যে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার পৌঁছে দিতে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন সব সার কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাফকোসহ বিসিআইসির নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও) এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এজন্য পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং, মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় পিপিই প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে বিসিআইসির অধীন ছয়টি সার কারখানার মধ্যে তিনটি চলমান রয়েছে এবং অন্য তিনটি কারখানা নিয়মিত সংক্ষিপ্ত মেরামতি শেষে শিগগিরই উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে বলে বিসিআইসি সূত্রে জানা গেছে। সার উৎপাদন ছাড়াও পরিকল্পনা অনুযায়ী বিসিআইসির সার আমদানি ও সরবরাহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ও কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তাসহ সার ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। এদিকে ইউরিয়া সার পরিবহন, ডিলারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ইউরিয়া সার যথাসময় উত্তোলন করে সারা দেশে কৃষকদের কাছে পৌঁছার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য ১১ এপ্রিল পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বিসিআইসির সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ বছরের এপ্রিল মাসের ইউরিয়া সারের বরাদ্দ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে প্রেরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মে ও জুনের বরাদ্দও প্রেরণ করা হবে। তবে যেসব ডিলার এখন পর্যন্ত এ বছরের মার্চের বরাদ্দ মোতাবেক নির্ধারিত পরিমাণ ইউরিয়া সার উত্তোলন করেননি, তাদের দ্রুত সার উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৯ এপ্রিল পরিবহনকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীদের জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করে আদেশ জারি করেছে। নভেল করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত মহামারী পরিস্থিতি বা মহামারী-পরবর্তী সময়ে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক পর্যায়ে সার, বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।