বন্ধ বাসের চাকা, পরিবহন শ্রমিকদের চোখে পানি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৯, ২০২০ , ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন যশোরের পরিবহন শ্রমিকরা। বছরের পর বছর সমিতির কল্যাণ ফান্ডে চাঁদা দিলেও এ দুর্যোগকালে তারা পাশে পাচ্ছেন না সমিতির নেতাদের। শ্রমিক নেতাদের দাবি, সমন্বয়হীনতার কারণে অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় পরিবহন শ্রমিকদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে বাসের চাকা ঘোরেনি এক মাস হয়ে গেছে। টার্মিনালগুলোতে সারি দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তকে সংযোগকারী বাসগুলো। ফলে বাসের চাকার সাথে জড়িত চালক, হেলপার, সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের জীবন-জীবিকাও থেমে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন অনেকটাই অভুক্ত এ পেশার মানুষগুলো। শ্রমিকরা বছরের পর বছর সমিতির কল্যাণ ফান্ডে চাঁদা দিয়েছেন কিন্তু এ দুর্যোগে পাশে পাচ্ছেন না কাউকে। একজন শ্রমিক বলেন, টার্মিনালে পড়ে আছি কয়েকদিন, কেউ দেখার নেই আমাদের। শ্রমিক নেতাদের দাবি, সমন্বয়হীনতার কারণেই বিরাজ করছে এ দুরাবস্থা। শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা বলেন, সংগঠনের যে ফান্ড আছে, সমন্বয়ের জন্যই এরকম হচ্ছে। তবে শ্রমিক সংগঠনের নেতার বলছেন, তারা শ্রমিকের কল্যাণেই চাঁদার টাকা ব্যয় করেছেন। বর্তমানে যে সমস্যা তাতে শ্রমিকদের রক্ষায় সরকারি সহায়তা জরুরি। বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. মোর্ত্তোজা হোসেন বলেন, যসোর জেলা প্রশাসনের কাছে শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য বার বার জানাচ্ছি। জেলার ১৮টি রুটে প্রায় দুই হাজার বাস চলাচল করে। এসব বাসে কর্মরত প্রায় ১১ হাজার শ্রমিক।