ফের ঋণ আবেদনের মেয়াদ বাড়ল
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৯, ২০২০ , ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ নেয়ার আবেদনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে তহবিল ব্যবহারের পরিধিও। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে আগামী ২ মে পর্যন্ত ব্যাংকগুলোয় আবেদন করতে পারবে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংকগুলো এসব আবেদন পর্যালোচনা করে আলোচ্য তহবিল থেকে তাদের ঋণের চাহিদা আগামী ৩ মে’র মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রফতানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে এর মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হল। এর আগে এই ঋণের জন্য আবেদনের সময় ছিল ২০ এপ্রিল। পরে এর মেয়াদ প্রথম দফায় বাড়িয়ে রফতানিকারকদের আবেদন করার সময় ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী, তহবিল ব্যবহারের আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। এ তহবিল থেকে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) এবং হাইটেক পার্কে অবস্থিত বি-টাইপ ক্যাটাগরির কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া যাবে। এসব শিল্প এলাকার যেসব কারখানা দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত, ওইসব খারখানাকে বি-ক্যাটাগরির কারখানা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এর মধ্যে যেসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ বিদেশে রফতানি করে, শুধু ওইসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এই তহবিল থেকে দেয়া যাবে। এর আগে ওইসব শিল্প এলাকার সি-টাইপ ক্যাটাগরির কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এ তহবিল থেকে দেয়ার বিধান করা হয়। যেসব কারখানা শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তা মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত সেগুলোকে সি-ক্যাটাগরির কারখানা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এর বাইরে যেসব কারখানা শতভাগ বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত হয় সেগুলোকে এ-ক্যাটাগরির কারখানা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এসব কারখানাগুলো এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পাবে না। তহবিল ব্যবহারের নীতিমালা ঘোষণার সময় এসব শিল্প এলাকায় অবস্থিত বি ও সি-ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দুই দফা নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে প্রণোদনা তহবিল থেকে বি ও সি-ক্যাটাগরির শিল্পকারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার বিধান করা হল। উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন। এর আলোকে গত ২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল ব্যবহারের নীতিমালা ঘোষণা করে। নীতিমালা অনুযায়ী রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে ২ বছর মেয়াদি ঋণ দেয়া হবে। ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮টি কিস্তিতে এই ঋণ শোধ করতে হবে।