করোনায় মৃত্যুদের দাফনের জন্য জমি দান করলেন এসআই জাহিদ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৯, ২০২০ , ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
পটুয়াখালী (মীর্জাগঞ্জ) প্রতিনিধি : মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের দাফনের গোরস্তানের জন্য জমি দান করলেন এসআই মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামে। বরিশাল বানড়ীপাড়া থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন। উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের মরহুম ইসমাইল সিকদার কল্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্বরত আছেন। যদি করোনা ভাইরাসে মির্জাগঞ্জের কোন ব্যক্তি মার যায় তাদের দাফনের জন্য এস আই জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা মিলে ১৭ শতাংশ জমি দান করেছেন। উপজেলার পূর্ব দেউলী গ্রামের মরহুম ডাক্তার ইসাহাক সিকদার বাড়ির সামনে ও মহাসড়ক সংলগ্ন জমি কবরস্থানের জন্য দান করেছে । বর্তমানে নোভেল কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। মির্জাগঞ্জে এই মরণঘাতি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি কোন মানুষ মারা যায় তাদের দাফনের জন্য জমি না থাকলে তাদের এই কবরস্থানে দাফন দেওয়া জন্য এএসআই জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের অন্য সদস্য’রা এ জমি দান করেন। এছাড়াও করোনাভাইরাস মহামারি ব্যতীত নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের লাশ এবং বেওয়ারিশ লাশও এই কবরস্থানে দাফন দেওয়া যাবে বলে এ এসআই জাহিদ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত এএসআই জাহিদুল ইসলাম এর আগে বানারীপাড়ায় করোনাভাইরাস রোধে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্রদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামড়গ্রী ও শিশুসহ কর্মহীনদের অলস সময় পাড় করতে ধর্মীয় গ্রন্থ ও খেলার সামগ্রী বিতরণ করেন, কখনও গ্রামের চলাচল অনুপযোগী রাস্তার ঝোপঝাড় পরিস্কার করে চলাচল উপযোগী করে দিয়েছেন,কখনও সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো যুবককে হাঁসের খামার করে দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া আবার কখনও শতবর্ষী অসহায় বৃদ্ধের পাশে দাঁড়িয়ে নগদ অর্থ ও নিজের রেশনের চাল-ডাল-তেল ও চিনি দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এএসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন ‘,মানুষ মানুষের জন্য’ এ চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করছি প্রতিনিয়ত। এ কবর স্থানে করোনায়, বেওয়ারিশ,ও নদী ভাঙ্গন কবলিত যাদের জমি নেই সেইসব মৃতব্যক্তির লাশ দাফন করা হবে। আমিসহ আমার চাচা ও চাচাতো ভাইদের সকলে সিদ্ধান্ত নিয়ে জমিটুকু কবরস্থানের জন্য দান করেছি। কারন আমার মৃত্যুর পরে সঙ্গে মানুষের দোয়া আর দাফনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নিয়ে যেতে পারবো না। তাই মানুষের কল্যাণে কাজ করে সেই দোয়াটুকুই সঙ্গে নিয়ে যেতে চাই।