করোনা মোকাবেলায় নিলামে গেইল-রিয়াদদের স্বাক্ষরিত ব্যাট
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৪, ২০২০ , ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় বিপিএলের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ভিন্ন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে জনপ্রিয় এই দলটির খেলোয়াড়রা একটি অফিশিয়াল টিম ব্যাটে স্বাক্ষর করবেন। এই ব্যাটটিকে নিলামে তোলা হবে। নিলাম হতে প্রাপ্ত অর্থটি যাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলায়, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে। এ উদ্দেশ্যে www.choloshobai.com প্ল্যাটফর্মে একটি ফান্ডরেইজিং পেজের ব্যবস্থা করবে স্পৃহা, যার লক্ষ্য থাকবে স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কোভিড-১৯ হেলথকেয়ার ক্যাম্পেইনের জন্য ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন। ১০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দাতা পাবেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর করা বিশেষ ব্যাটটি। দলটির চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দ ইয়াসির আলম নিশ্চিত করেছেন যে তারা ভবিষ্যতে এই সঙ্কট মোকাবেলায় আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাতো কে এম রিফাতুজ্জামান স্পৃহার পাশে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি এটাও জানান যে সকল রকম সঙ্কটের মুহূর্তে জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ সময়ে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা এবং এ সময়েই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সামাজিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (এসবিএফ)। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি সৃজনশীল সমাধান দেওয়ার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রতি যত্নশীল। শুধু তাই নয়, একত্রে কাজ করলে তা অনেকের উৎসাহের কারণ হতে পারে। এই চিন্তা থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট টিম চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সহায়তা কামনা করে স্পৃহা। পৃথিবীজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারি শুধু একটি ব্যধিই নয়, বরং তা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে বিপর্যয় এবং ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যের অশুভ সম্ভাবনা। এমন পরিস্থিতিতে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া জরুরী, আর সে চিন্তা মাথায় রেখেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (এসবিএফ)। জানুয়ারি ২০২০ এর হিসেব মতে স্পৃহা বাংলাদেশের ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৬ জন মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে ১৪৬,৫৮৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে, ৭১০০ শিশুকে শিক্ষা দান করা হয়েছে, ৫৯৯৬ জন যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং ৮০,৩২১ মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মাঝে দশ লক্ষ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার লক্ষ্য পূরণের আশা রাখে স্পৃহা।