পাকুন্দিয়ায় জামাই-শ্বশুরের করোনা জয়
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৫, ২০২০ , ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
কিশোরগঞ্জ (পাকুন্দিয়ায়) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। টানা কয়েক দিন হাসপাতালে থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন তারা। সম্পর্কে ওই দুজন জামাই-শ্বশুর। তারা হলেন, উপজেলার হোসেন্দী চরপাড়া গ্রামের মো.আলম মিয়া (৩২)ও চরতেরটেকিয়া গ্রামের মো.উসমান মিয়া(৬৫)। জানা যায়, গত ১০এপ্রিল উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পজেটিভ হন হোসেন্দী চরপাড়া গ্রামের আলম মিয়া। ওই দিনই তিনি কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে ৩-৪ দিন চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিন সপ্তাহ চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হন তিনি। গত ১মে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। এদিকে জামাই আলম বাড়িতে থাকাকালীন তার সংস্পর্শে আসা শ্বশুড় উসমান মিয়াও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন।গত ১৩ এপ্রিল তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। ১৭এপ্রিল তাকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই সপ্তাহ ভর্তি থাকার পর কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত হন তিনি। গত ৩মে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। অপরদিকে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই তৎপর থাকতে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে। তারা বিভিন্ন টীমে ভাগ হয়ে করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহসহ সাধারণ লোকজনদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। এতে এ উপজেলায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জামির মো.হাসিবুস ছাত্তার দিনের শেষে প্রতিনিধিকে জানান, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই তৎপর রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসকদের সম্বন্বয়ে মেডিক্যাল টীম গঠন করে উপজেলার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। লোকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতসহ, করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সর্দি, কাশি রোগীদের জন্য হাসপাতালে পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে ল্যাব টেকনোলজিস্ট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেও থেমে নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীসহ উপজেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। দুজন ইতোমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অপর দুজনের অবস্থাও ভাল। সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখা হয়েছে।