আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস ফিফা রেফারি হয়েও বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায় জয়া চাকমা

ফিফা রেফারি হয়েও বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায় জয়া চাকমা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৬, ২০২০ , ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে ফিফার রেফারি হয়ে স্বপ্ন পূরণের পর খেলা পরিচালনার অপেক্ষায় ছিলেন জয়া চাকমা। কবে ফিফা আয়োজিত আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাঁশি বাজাবেন তার অপেক্ষায় ছিলেন পাহাড়ি কন্যা। কিন্তু করোনা ভাইরাস গোটাবিশ্বের খেলাধুলা থামিয়ে দেয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাঁশি বাজানো। ২০২০ সালের জন্য পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন জয়া চাকমা। গত বছর ২৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই নারী রেফারি জয়া চাকমা সালমা আক্তার মনি। দুইজনই উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু ফিফা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে শুধু জয়াকে। কারণ, মনির বয়স ফিফা নির্ধারিত ২৩ বছরের চেয়ে কম। জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরএই এক বছর ফিফার ম্যাচ পরিচালনা করার স্বীকৃতি ছিল জয়ার। চার মাস কেটে গেলো। করোনামুক্ত হয়ে ফুটবল কবে মাঠে ফিরবে তা নিশ্চিত নয়। এভাবে যদি ২০২০ সালটা কেটে যায় তাহলে জয়ার ম্যাচ পরিচালনার কি হবে? সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বলেন, ‘রেফারিদের প্রতি বছরই পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। এমন নয় যে, একবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলে রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বছরের পর বছর। আগামী সেপ্টেম্বরঅক্টোবরে আবার পরীক্ষা হওয়ার কথা। যদি ফিফা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয় তাহলে সেটা আলাদা। এখন পরীক্ষার আগে কোনো ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ থাকলে সেটা জয়া পাবেন। না হলে আবার পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ফিফার স্বীকৃতি নিতে হবে।বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারিজ কমিটির কর্মকর্তা ইব্রাহিম নেসার বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টা নির্ভর করছে ফিফার ওপর। ফিফা যদি মনে করে ২০২০ সালে যারা পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ২০২১ সালেও বাঁশি বাজাতে পারবেন, তাহলে তো কথাই নেই। আবার এমনও হতে পারে সেপ্টেম্বরঅক্টোবরের পরিবর্তে পরীক্ষা কয়েক মাস পিছিয়ে দিতে পারে। ফিফার সিদ্ধান্ত ছাড়া বোঝা যাবে না জয়ার ক্ষেত্রে কি হবে।