ঘূর্ণিঝড় আম্পান : পটুয়াখালীতে ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৯, ২০২০ , ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : সাইরেনের ভূতুরে শব্দ পটুয়াখালীর বাউফলের চরভূম আর তেঁতুলিয়া নদীপাড়ের এলাকায়। ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেতর কথা জানানো হয়েছে স্থানীয়দের। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্যোজ্জ্বল আবহাওয়ায়। এ খবর লেখা পর্যন্ত (দুপুর পৌনে ১২টা) আকাশ কিছুটা থমথমে আর ভ্যাপসা গরম ছাড়া ঘূর্নিঝড় ‘আম্পানের’ আর কোন ধরণের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। আবাহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা সংকেতের কারণে চর ও নিম্নাঞ্চলের লোকজনের জরুরী অবস্থান নেওয়ার সুবিধার্থে ইতিমধ্যে উপজেলার মোট ১৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলতি শতাব্দিতে বঙ্গোপসাগরে এটিই প্রথম সুপার সাইক্লোন ও ২০০৭ সালের সিডরের চেয়েও শক্তিশালী উল্লেখ করে সাইরেন বাজিয়ে ও মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে সর্বসাধারনকে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ওয়ালে বিশেষ ঘোষণা দিয়ে উপজেলাবাসীকে নিকটস্থ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিতে এবং জরুরী বিষয়ে কন্টোল রুমে ০১৭১০০০৬২১৬ নম্বরে যোগাযোগ রেখে সার্বক্ষনিক পরিস্থিতি জানাতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছেন। এ দিকে তেঁতুলিয়া নদীর পানি প্রবাহের চাপ স্বাভাবিক রয়েছে ও নদী পাড়ের ধানদী হাই স্কুল ভবন থেকে সতর্ক সাইরেন বাজানো হচ্ছে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। সতর্কতা জারির কারণে কালাইয়া, চরওয়াডেল, চর রায়সাহেব, পাশের উপজেলা দশমিনার বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে মাছধরার ট্রলারের অবস্থান নেওয়ার কথা জানা গেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ মোবাইলফোনে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের খবরে চরাঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন শাক–সবজি এবং মরিচ, তীল, ফ্যালন, মিষ্টি আলু, বাদামসহ দেঁড়িতে ওঠা রবি ফসল নিয়ে শঙ্কিত কৃষক–কৃষাণী