আজকের দিন তারিখ
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
●
৬ ছাত্রনেতার ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানা গেল
●
পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা
●
বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম, বিকেল থেকে কার্যকর
●
সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ
●
পিসিবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম
●
শিক্ষার্থীদের সরাসরি গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ
●
ফের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকছে
●
দুই ইরানি এজেন্ট দিয়ে হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল
●
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা
●
নোয়াখালীতে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
প্রচ্ছদ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
স্পোর্টস
সারাবিশ্ব
বিনোদন
ফ্যাশন
লাইফ স্টাইল
অর্থ ও বাণিজ্য
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
সাহিত্য কথা
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
প্রচ্ছদ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
স্পোর্টস
সারাবিশ্ব
বিনোদন
ফ্যাশন
লাইফ স্টাইল
অর্থ ও বাণিজ্য
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
সাহিত্য কথা
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
সম্পাদকীয়
৫ করোনা রোগী পুড়ে কয়লা, দায় কার?
৫ করোনা রোগী পুড়ে কয়লা, দায় কার?
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৩০, ২০২০ , ৬:০১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ:
সম্পাদকীয়
শ্যামল দত্ত , সম্পাদক :
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের ৭১ নম্বর সড়কের ইউনাইটেড হসপিটাল নামটি অনেকের কাছে পরিচিত। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন কারাবন্দি ছিলেন, তখন চিকিৎসার জন্য প্রায় এই হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতেন। সরকার বারবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার দাবিতে তিনি ছিলেন অনড়। যদিও সরকার শেষ পর্যন্ত তার দাবি মানেনি এবং জামিনে মুক্তির আগ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেলেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। অভিজাত এলাকার হাসপাতাল অভিজাত হবে- এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু লেকের পাড়ে মনোরম পরিবেশে স্থাপিত এই হসপিটালটি বারিধারার দিক থেকে দেখলে মনে হবে যেন এক রাজপ্রাসাদ।
রাতের বেলায় বর্ণিল আলোয় আলোকিত এই হাসপাতাল মুগ্ধতা ছড়ালেও প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিয়ে আছে নানা অভিযোগ এবং বিভিন্ন সময়ে বহু কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিল হাসপাতালটি। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা নায়ক মান্না মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাটির অবশ্য কোনো সুরাহা শেষ পর্যন্ত হয়নি। নায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী কাদের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ড. ফখরুদ্দীন আহমদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন- কোনো চিকিৎসা ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত নায়ক মান্নাকে ফেলে রাখা হয়েছিল হাসপাতালে। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পর ৬ ডাক্তারকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই ৬ ডাক্তারই জামিন পেয়ে যায়। অভিযুক্ত ডাক্তারদের পক্ষে মামলা লড়েছিলেন বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। গত পহেলা মে কম্বোডিয়ায় বিশ^ব্যাংকের স্বাস্থ্য পরামর্শক হিসেবে কর্মরত ডক্টর জিয়াউদ্দিন হায়দার তার মায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন, যেটি এখনো বিচারাধীন আছে। ডক্টর জিয়াউদ্দিন হায়দারের অভিযোগ, কোনোরকম চিকিৎসা ছাড়াই করোনা রোগী সন্দেহে তার মা মাহমুদা খাতুনকে চিকিৎসা না দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সেখানে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ডক্টর জিয়াউদ্দিন হায়দারের এই অভিযোগেরও কোনো সুরাহা হয়নি।
ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনাও এটা প্রথম নয়। এর আগেও কয়েকবার আগুন লাগাসহ বিভিন্ন সময়ে নানা কেলেঙ্কারির ঘটনা এখানে ঘটেছে। আইসিইউর বিল দিতে না পারায় রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখা, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু ইত্যাদি নানা অভিযোগ রয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবে গত বুধবারের আগুনে পুড়ে পাঁচ করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনা সব কেলেঙ্কারিকে ছাপিয়ে গেছে। মানুষ হাসপাতালে যায় চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য; কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে আগুনে পুড়ে মরতে হবে এমন ভাবনা সম্ভবত কারো থাকে না। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস- করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেঁচে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলেও আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে বেরোতে হলো পাঁচ রোগীকে।
রাজধানীর এই পাঁচ তারকা হসপিটালগুলো করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে রাজি হচ্ছিল না কোনোভাবেই। নানা টালবাহানায় সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে অসংখ্য রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। করোনা আক্রান্ত না হওয়া সত্ত্বেও বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে বিনা চিকিৎসায়। শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোর নির্দেশের প্রেক্ষাপটে করোনা চিকিৎসার নামে হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে অস্থায়ী শেড নির্মাণ করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। অনেকে মনে করেন, সেটিও এক ধরনের রোগীদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মূল ভবনের বাইরে দায়সারা চিকিৎসার ব্যবস্থা চিকিৎসা না দেয়ারই নামান্তর। এই আইসোলেশন ইউনিটটি নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেয়া হয়নি। এছাড়া ফায়ার ব্রিগেডের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন রকমের দাহ্য পদার্থ দিয়ে নির্মিত এই শেডে দ্রুত আগুন লেগে মৃত্যুবরণ করল ৫ করোনা রোগী। অন্যদিকে করোনা রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ড হওয়ায় আগুন নেভাতে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেননি কেউ। করোনা রোগীদের আত্মীয়স্বজন কেউ কেউ আপ্রাণ চেষ্টা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল অপরাধের পর্যায়ে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, অত্যাধুনিক এই হাসপাতালের মূল ভবনেও পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। ১২টি অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডারের মধ্যে ৯টিই মেয়াদোত্তীর্ণ। অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, আগুন নেভাতে তৎপর না হওয়া এবং আগুন লাগার পরও ফায়ার সার্ভিসকে ঠিক সময়ে না জানানোর কারণে মৃত্যুবরণ করতে হলো রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরনন অ্যান্থনি পাল (৭৫), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মুহাম্মদ মাহবুব (৫০) কে। বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসে খবর পৌঁছে ৯টা ৫০ মিনিটে। তাও এই খবর দিয়েছেন একজন রোগীর আত্মীয় পুলিশের হটলাইন ৯৯৯-এ কল করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা ছিল উল্লেখ করার মতো। তারা নিজেরা কিছুক্ষণ চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হয়, তখনই তাদের টনক নড়ে। ফায়ার ব্রিগেড ১০টা ২০ এর মধ্যে আগুন নেভাতে সমর্থ হলেও এর মধ্যে করোনা রোগীরা পুড়ে কয়লা।
ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ভেরনন অ্যান্থনি পাল ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং সেখানে থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে তিনি কোয়েটায় যুদ্ধবন্দি হিসেবে ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ফেরার পর পরবর্তীতে চাকরি নেন বহুজাতিক সংস্থা ডিএইচএল-এ। ২০০৩ সালে অবসর নিয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে থাকতেন। তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার আন্দ্রে ডমিনিক পাল বললেন, চোখের সামনে অসহায়ভাবে ইউনাইটেডের করোনা ইউনিটে বাবাকে পুড়ে মরে যেতে দেখলাম। হাসপাতালে আগুন লাগার প্রায় চার ঘণ্টা আগে জানতে পারেন তিনি করোনা আক্রান্ত নন। করোনা রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে। তাকে হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার জন্য অনুনয়-বিনয় করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসএমএসে বিশ^াস করছিলেন না। হার্ডকপি পেলেই তারপর ব্যবস্থা নেবেন জানিয়েছিলেন। কিন্তু হার্ডকপি পাওয়ার আগেই তিনি চোখের সামনে পুড়তে দেখেন তার বাবাকে। আন্দ্রে ডমিনিক পাল বলেন, আগুন নেভানোর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ওয়ার্ডের এক কর্মী মব জাতীয় একটা ভেজা ঝাড়ু দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে কিন্তু এতে আগুন আরো ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। একপর্যায়ে সেই ঝাড়ুদার পালিয়ে যায়। আমি অনেকক্ষণ ধরে কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাবাকে তার যে করোনা নেগেটিভ এই মেসেজটি দেখানোর জন্য। কিন্তু আগুনের শিখা বাড়তে থাকায় আর ঢুকতে পারিনি। ফায়ার ব্রিগেড আসার পর যখন আগুন নিভল তখন একেকটা লাশ বের করে আনা হচ্ছিল। বুকের ওপর পোড়া পেসমেকার দেখে বুঝতে পারলাম এটা আমার বাবা।
অন্যদিকে জ¦র নিয়ে গুলশানের একটি বায়িং হাউসে অফিস করছিলেন রিয়াজুল আলম লিটন। বুধবার দুপুরে সহকর্মীরা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান পাশের ইউনাইটেড হাসপাতালে। পরীক্ষার জন্য নমুনা নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। লিটন অপেক্ষা করছিলেন ফলাফলের জন্য। ফলাফল আসলো নেগেটিভ। কিন্তু এর মধ্যেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হলো তার।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এসব মৃত্যুর দায় কে নেবে? ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতা আমরি হসপিটাল অগ্নিকাণ্ডের কারণে ৯০ জন রোগীসহ ৯৪ জনের মৃত্যু ঘটে। ২০১৬ সালে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে এই অগ্নিকাণ্ডের মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ইতিহাসে এটাই ভয়াবহতম ঘটনা। সম্প্রতি রাশিয়াতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া এমন একটি হসপিটালে আগুন লেগেছিল। ধারণা করা হয় ভেন্টিলেটর মেশিন থেকেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানেও দুজন রোগী মারা যায়। এছাড়া গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন লাগলে এক শিশুর মৃত্যু ছাড়া ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। ১২শ রোগীকে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা অন্যত্র স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়। রাজধানীতে ফায়ার ব্রিগেডের এক জরিপে দেখা যায়, ৪৩২টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১১টি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আছে। বাকি ৪২১টি হাসপাতালে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তার মধ্যে ১৭৫টি হাসপাতাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে দেশে হাসপাতাল চলছে, চিকিৎসার নামে বাণিজ্য চলছে কিন্তু এসব দেখার কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।
ইউনাইটেড হাসপাতাল যাত্রা শুরু করেছিল ২০০৬ সালে। ৩৫০ বেডের এই হাসপাতাল রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র। বিশেষ করে দেশের বিশিষ্ট হৃদরোগের চিকিৎসক অধ্যাপক মমিনুজ্জামান হৃদরোগীদের আশা-ভরসার স্থল। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিএনপির আমলে আবাসিক এলাকার মধ্যে এরকম একটি হাসপাতাল গড়ে উঠলেও গুলশানের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন এরকম একটা হাসপাতাল নির্মাণের কারণে। অন্তত রোগে দুর্ঘটনায় চিকিৎসা পাওয়া যাবে এই আশায়। হাছান মাহমুদ রাজা চেয়ারম্যান ও আবুল কালাম আজাদ ভাইস চেয়ারম্যান এবং মইনুদ্দিন হাসান রশিদ ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউনাইটেড গ্রুপের। তবে এই হাসপাতালের পরিচালক হচ্ছেন ফরিদুর রহমান খান। এছাড়া দুজন সহযোগী পরিচালকসহ আরো ৭ জন পরিচালক আছেন এই গ্রুপে। এরা হলেন- ক. আহমদ ইসমাইল হোসেন, খ. আকতার মাহমুদ রাজা, গ. কে এম শামীম, ঘ. নাসির উদ্দিন আকতার রশিদ, ঙ. মালিক তালহা ইসমাইল বারী, চ. ফাহাদ খান এবং ওয়াসিকুল আজাদ। হাসপাতালের ব্যবসা ছাড়াও এই গ্রুপের জ্বালানি, নৌ ও আবাসন খাতেও নানা বিনিয়োগ রয়েছে।
ইতোমধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ তদন্ত কমিটির ফলাফল কি হয় সেটা নিশ্চয়ই আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের মতে, বাংলাদেশে একটা প্রচলিত আইন আছে এই আইনটির নাম হচ্ছে টট আইন (ঞঙজঞ)। এই আইনের বলে, অবহেলাজনিত কারণে যদি কারো মৃত্যু বা ক্ষতিসাধন হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার আছে এবং অপরাধের শাস্তি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জেল-জরিমানা এমনকি আরো কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এই ধরনের অবহেলাজনিত অপরাধের বিচার ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তি আমরা দিতে পারব কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এই বিভাগের সর্বশেষ
ভূকম্পন রেডলাইনে বাংলাদেশ!
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে বিলম্ব নয়
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট : রাজস্ব আয়ের বাস্তবতা ও করণীয়
রানা প্লাজা ধসে বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত হোক
ফাইনালের মহারণে ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা
এবার পীরগঞ্জে হামলা : প্রতিটি অপরাধের কঠোর বিচার হোক
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট থাকুক
যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা দুঃখজনক
কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করে চাল আমদানি হোক
জলবায়ুর পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যা
যথাসময়ে বাস্তবায়ন হোক মেগা প্রকল্প
ঝুমন দাশ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
চোরাচালান রোধে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি
বিশ্ব নদী দিবস যেন শুধু দিবসেেই সীমাবদ্ধ না থাকে
মাদকের বিরুদ্ধে প্রয়োজন কার্যকর অভিযান
এই বিভাগের সর্বাধিক পাঠিত
করোনা কাহিনী : তিনটি মৃত্যু একটি জন্ম একই সুতোয় গাঁথা
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও চারটি গুরুতর বিচ্যুতি
করোনা কাহিনী : প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ও নানা প্রতিক্রিয়া
করোনা ভাইরাস বনাম গুজবের ভাইরাস
চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই?
সাধারণ রোগীরা কোথায় যাবে?
করোনোর সংকটে ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগ ও পরিবেশ বিপর্যয়
করোনা কাহিনী : রাষ্ট্রের ভেতরে শক্তিশালী রাষ্ট্র
৫ করোনা রোগী পুড়ে কয়লা, দায় কার?
একটি যৌক্তিক প্রতিবাদ ও ওএসডি হওয়ার কাহিনী