যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত, গ্রেপ্তার ৪ হাজার
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০২০ , ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এর জের ধরে ইতিমধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে ৪,০০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ। তারপরেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে।
কৃষাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ করায় সেখানে প্রথম গ্রেপ্তারের ঘটে গত ২৬ মে। পরের পাঁচ দিনে গোটা দেশে সব মিলিয়ে আটককৃতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজারে।
এই বিক্ষোভে অদ্ভুত রকমের নীরবতা পালন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও শুরু দিকে দিকে তিনি টুইটারে দাঙ্গাকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বার্তা প্রকাশ করেছিলেন, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা সম্মুখীন হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছেন।
কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে দেশজুড়ে যে ভয়াবহ বিক্ষোভ চলছে তা নিয়ে এখনও মুখ খুলেননি ট্রাম্প। গোটা দেশ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের অপেক্ষায়।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজের বাইরে প্রবল বিক্ষোভ হওয়ায় কিছু সময়ের জন্য ভূগর্ভস্থ বাংকারে চলে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববার রাতে তিনি আবারও ফের তিনি বাংকারে আশ্রয় নেন।
এদিকে, গুগল, ইউটিউবের মতো আরও অনেক সংগঠন জাতিগত সমতার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। জাতিগত সাম্যের উল্লেখ করে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই হোমপেজে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিটির নীচে কালো ফিতে। সঙ্গে একটি বার্তা, ‘আমরা জাতিগত সাম্যের পক্ষে। যারা সাম্যের খোঁজে রয়েছেন, তাদের পক্ষেও দাঁড়িয়েছি।’
অন্য দিকে, ইউটিউব তাদের আইকন লাল রং থেকে পালটে কালো করে। পুলিশের হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় মিনিয়াপলিস-সহ মার্কিন শহরগুলিতে। সোমবার এই মিনিয়াপলিসে ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তার করেছিল চার পুলিশ অফিসার।
একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, ওই চার জনের মধ্যে ডেরেক চৌভিন নামে এক অফিসার প্রায় আট মিনিট সময় ধরে জর্জের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে মাটিতে চেপে ধরেছিলেন। পরে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যান ৪৬ বছর বয়সী ওই কৃষাঙ্গ।
ওই চার পুলিশ কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। চৌভিনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও আনা হয়েছে। কিন্তু, এরপরও বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র।