চাঁদপুরে করোনার উপসর্গে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের মৃত্যু
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০২০ , ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুরে মৃত্যু থেমে নেই। মঙ্গলবার একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও তিনজন মারা গেছেন। এদের দুজন চাঁদপুর সদরে। অন্যজন জেলার কচুয়া উপজেলায়।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবু বক্কর তালুকদার (৭০), মৈশাদী ইউনিয়নের টেলু মিয়া (৪২) এবং দুপুরে কচুয়া উপজেলার উত্তর গোহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মুন্সী (৬০) মারা গেছেন। এ তিনজনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল হাই মুন্সী এবং অন্য দুজন বাড়িতেই করোনার উপসর্গ সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, নমুনা পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত ২৮৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যেই ২৩ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার সুযোগ হয়নি। চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়েই এমন আরও ৪০ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে চাঁদপুর সদর ও জেলার হাজীগঞ্জে মৃত্যুর হার বেশি।
এদিকে মঙ্গলবার থেকে নতুন নিয়মে চাঁদপুরে চালু হয়েছে লকডাউন।
এতে নির্দেশনা হচ্ছে, শহরের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে রোগীর বাড়ি লকডাউন হবে। গ্রামে হলে আক্রান্তের বাড়িসহ আশপাশের চারটি বাড়ি লকডাউন হবে। তবে জেলা প্রশাসনের এমন নির্দেশনা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন, পরিবেশবিদ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, গ্রামের চেয়ে শহর ঝুঁকিপূর্ণ। কারণে শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তাই শুধু একটি বাড়ি লকডাউন করে করোনার বিস্তার ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক, নৌ ও রেলপথ যোগাযোগের কারণে চাঁদপুর একটি ট্রানজিট পয়েন্ট। এমন পরিস্থিতিতে অন্য জেলা এবং নজরদারির বাইরের মানুষগুলো চাঁদপুর শহরে ঢুকে পড়ছে। এতে ব্যাপক হারে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন শহরের লোকজন। তাই আক্রান্তের এলাকা চিহ্নিত করে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করার জন্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার পরিস্থিতির আলোকে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, রাজধানীর রাজাবাজার, নারায়ণগঞ্জ কিংবা কক্সবাজারের মতো এলাকা চিহ্নিত করে যদি চাঁদপুরে লকডাউন ঘোষণা না করা হয়। তাহলে পরিবর্তিত অবস্থায় এর জন্য চাঁদপুরের মানুষজনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
গত ৮ এপ্রিল গোটা চাঁদপুরকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। তারপর ৩১ মে থেকে আরেক দফায় কয়েকটি শর্ত দিয়ে সেই লকডাউন চলমান রাখা হয়। সর্বশেষ আজ থেকে নতুন নিয়মে তৃতীয় দফায় লকডাউন চলছে চাঁদপুরে।