লকডাউন নিয়ে ৫ মন্ত্রী ৩ মেয়রের বৈঠক
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১২, ২০২০ , ৩:৩৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ রোধে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুলে দিয়ে অর্থনীতি সচল রাখতে এখন জোন বা এলাকাভিত্তিক লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার জোনভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণের ব্যাপকতা রোধে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে অনলাইন বৈঠক করেছেন সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী এবং তিনজন মেয়র। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অংশ নেন।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অংশ নেন। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে যুক্ত ছিলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দেশে করোনা মোকাবেলার জন্য জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হলে তা বাস্তবায়নে রাজধানীসহ সারাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি এবং উপ-কমিটিকে সক্রিয় করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিগুলোকে সক্রিয় করে লকডাউন এর বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিলে তা অধিক কার্যকরী হবে।
জোন ভিত্তিক এলাকাগুলোতে অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুবিধার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসব এলাকায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেল করে তাৎক্ষণিক সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোন ওয়ার্ড এর যে অংশে কোভিড সংক্রামক রেডের মাত্রায় পৌঁছেছে, পুরো ওয়ার্ড এর পরিবর্তে শুধু সেই এলাকায় লকডাউন করলে কাজের চাপ কম হবে। সারাদেশে যখন এলাকা ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হবে তখন সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যস্ত করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ করোনা ছাড়াও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা জনিত বিষয় সামলাতে গিয়ে শুধু করোনা প্রতিরোধে এত সংখ্যক জনবল পদায়ন করা কঠিন হবে। সেজন্য জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এটা কার্যকরি করতে সহজ হবে।