করোনার নমুনা সংগ্রহ হলেও ফল পেতে ভোগান্তি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০২০ , ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : কোভিড পরীক্ষার জন্য জমে আছে ২১ হাজারের বেশি নমুনা। আর সে কারণে পরীক্ষার ফল পেতেও লেগে যাচ্ছে লম্বা সময়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়লেও নমুনা সংগ্রহ অনুপাতে তা পর্যাপ্ত নয়। দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ, উপজেলা পর্যায়ে ল্যাব সুবিধা ও সমন্বয় বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কোভিড ঊনিশ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার লাইন দীর্ঘ হয়েই চলেছে। নমুনা দিতেই সময় লেগে যাচ্ছে কয়েক দিন। রিপোর্ট পেতেও বাড়ছে প্রতীক্ষার প্রহর।
ভুক্তভোগীরা বলেন, এমন কষ্ট মানুষ আশা করে না। তিনদিন ঘুরার পর সিরিয়াল দিতে পেরেছি। নমুনা দিতেও কষ্ট রিপোর্ট পেতেও ভোগান্তি।
গত এক মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সংগ্রহের তুলনায় পরীক্ষা কম হওয়ায় পড়ে আছে ২১ হাজারের বেশি নমুনা। দিন গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে জমে থাকা নমুনার সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি জট বাড়ে গত ১৫ দিনে। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় পরীক্ষা কম হয়েছে ৭.৫৮ শতাংশ। যা আগের ১৫ দিনে ছিল ৩.৫৭ শতাংশ। গত ১৫ দিনে কেবল একদিন সংগ্রহের তুলনায় পরীক্ষার হার ছিল বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় ত্রুটির কারণে কম হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মেশিন কেনার অনুমতি দেয়া গেলে উপকার হতো। তবে আরও কিছু পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিনের অবহেলার বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে করোনা মহামারি। নমুনা জট কমানো আর পরীক্ষার হার বাড়াতে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ তাদের।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, জনবল বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। উপজেলাগুলোতে ল্যাব দিতে হবে। অবশ্যই সমন্বয়ের দরকার আছে।
দেশে একদিনে গত ৯ জুন সর্বোচ্চ নমুনা সংগ্রহ হয় ১৭ হাজার ২০৯ জনের। আর সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা হয়েছে ১২ জুন ১৫ হাজার ৯৯০।