ঋণ শোধে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাড়
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৬, ২০২০ , ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে। এর ফলে বর্তমানে কোনো ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনো খেলাপি ঋণগ্রহীতা এ সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তাই ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার ব্যবসায়ের ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধ ও শ্রেণিকরণের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরে উক্ত ঋণ/বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে, কোনো ঋণের/বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। খ) অনুচ্ছেদ-৩(ক)-এ বর্ণিত নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিদ্যমান মেয়াদি (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) ঋণ/বিনিয়োগসমূহের বিপরীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিগুলো স্থগিত (deferred) হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে চলতি বছরের অক্টোবর/২০২০ হতে সংশ্লিষ্ট ঋণ/বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হবে। পুনঃনির্ধারণকালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যতগুলো কিস্তি প্রদেয় ছিল, তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোনো কিস্তি পরিশোধিত না হলেও উক্ত কিস্তিগুলোর জন্য মেয়াদি ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা কিস্তি খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না।