আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য বেড়েই চলেছে অনিয়মকারী জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা

বেড়েই চলেছে অনিয়মকারী জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৭, ২০২০ , ৪:৩৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নগদ অর্থ সহায়তা, চাল আত্মসাৎ এবং তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ একের পর এক অভিযোগ আসছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বরখাস্তসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়াও হচ্ছে। তবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম কোনভাবেই কমানো যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে অনিয়মে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট একশত জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।

সর্বশেষ বুধবার অনিয়মের অভিযোগে একজন চেয়ারম্যান এবং দশজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে বুধবার এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচীর সুবিধা ভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এবং জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়ণে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ০৮ নং ওয়ার্ডের আসো মো. আবুল কালাম, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ০৮ নং নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ০৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলাধীন ০৪ নং কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ০৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলাধীন বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পারভীন আক্তার ও ০২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোসা: মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলাধীন ৬ নং চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখিত সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. তোফায়েল

আহমেদ জানান, ‘সরকার কী বলে সেটা জানতে হবে। সাংবাদিকরা কাছে দেখছেন বলে অনেক কিছুই জানেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে, এটা চট করে করা যায় না। বিষয়টা এত সহজ না।’

শুধুমাত্র তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগটা বিভ্রান্তিকর মনে করেন এই স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, অবহেলা, দুর্নীতি শুধু কি তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরাই করছেন? ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার এদেরকে শুধু ধরা হচ্ছে। অনেক লেভেলের কথা শোনা যাচ্ছে। ওখানে কি হচ্ছে। আমার কাছে এটা খুব বিভ্রান্তিকর মনে হয়। এই সময়ে সবার চোখের ওপরে একজন লোক এত চুরি করবে এটাও আমি বিশ্বাস করতে পারি না।