চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় আইসোলেশন সেন্টার চালু হচ্ছে রোববার
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৮, ২০২০ , ৪:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : আগামী রোববার থেকে রোগী ভর্তি শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অর্থায়ন ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ২৫০ শয্যার সিটি হল করোনা আইসোলেশন সেন্টারে। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এটাই সবচেয়ে বড় আইসোলেশন সেন্টার। যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি চিকিৎসা নিতে পারবেন উপসর্গযুক্ত রোগীরাও। নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকায় সিটি কনভেনশন হলে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে এই সেন্টারের। বৃহস্পতিবার সেন্টারের চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় তিনি আগামী রোববার থেকে আইসোলেশন সেন্টারটিতে রোগী ভর্তির ঘোষণা দেন। চসিকের আইসোলেশন সেন্টারটি চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা মোকাবেলায় কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মেয়র নাছির বলেন, চিকিৎসক ও নার্সসহ প্রশিক্ষিত জনবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটির কার্যক্রম শুরুর সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও নার্স যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ বর্ধিত বেতন, ঝুঁকিভাতা এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কয়েকদিন আগে আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্ব পালন করতে চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কিন্তু এই কর্মশালায় যোগ দেননি ১০ চিকিৎসক ও এক স্টোর কিপার। তারা দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ওই ১১ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র বলেন, করোনা আক্রান্তদের সেবা প্রদানে তাদের অনীহা, শপথ ভঙ্গ ও পেশার প্রতি অবমাননা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার শামিল। দেশপ্রেম বর্জিত এ অনৈতিক আচরণের জন্য তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে নতুন উদ্যোগ ও সামর্থ্য নিয়ে চসিক সিটি হল কোভিড আইসোলেশন যথাসময়ে চালু করতে যাচ্ছে। মেয়র আশা প্রকাশ করে বলেন, করোনা শনাক্তরা যাতে এ আইসোলেশন সেন্টার থেকে উপযুক্ত ও যথাযথ সেবা পান, সে ব্যাপারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে সারা দেশে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবেন। এ দিকে আইসোলেশন সেন্টারটির জন্য বৃহস্পতিবার মেয়র নাছিরের হাতে চিকিৎসা সরঞ্জাম তুলে দেন সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা। চিকিৎসাসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে অক্সিমিটার, ব্লাড প্রেসার মেশিন, থার্মাল মিটার, হুইল চেয়ার, স্টেথেস্কোপ, পোর্টেবল স্ট্রেচার, ১৫০ রোগীর জন্য ওষুধ ও জীবাণুনাশক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দিদারুল আলম, সৌমিত বড়ুয়া রাসেল, সঞ্জয় মহাজন, মো. আলম, মো. আজাদ খান, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।