‘স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন’
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৯, ২০২০ , ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অদূরদর্শী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য জনমনে হতাশা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকার যখন দিনরাত পরিশ্রম করে মানুষের মনোবল চাঙা রাখার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন করোনার আয়ুস্কাল নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য জনমনে হতাশা তৈরি করেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে কারও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখা মোটেও সমীচীন নয়। শুক্রবার (১৯ জুন) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার যখন দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য নিয়মিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা যোদ্ধাদের প্রতিনিয়তই সাহস দিচ্ছেন; তখন স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কোন কোন কর্মকর্তারা করোনার আয়ুষ্কাল নিয়ে অদূরদর্শী ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য হতাশা তৈরি করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ধরনের সমন্বয়হীন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য থেকে নিজেদের বিরত রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই সময়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে কারও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখা মোটেও সমীচীন নয়। করোনার এই সংকটে সম্মুখভাগের যোদ্ধাদের অনেকেই দেশ-জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে খুলনায় একজন চিকিৎসক হত্যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। করোনা সংকটে চিকিৎসকসহ সম্মুখযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, অন্যায়কারী যত ক্ষমতাবানই হোক তার রেহাই নেই। করোনা সংক্রমণের বর্তমান পর্যায়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের আশার শেষ ঠিকানা, চেতনার বাতিঘর, সংকটে দৃঢ় আস্থা শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দলীয় নেতাকর্মীরা সাহসী ও মানবিক ভূমিকা পালন করবেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জোন ভিত্তিক লকডাউন সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর পরই দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রতিষ্ঠা করতে হবে সুসমন্বয়। যে সকল এলাকা লকডাউন করা হবে, সেসব এলাকায় জনসাধারণকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলারও আহ্বান জানান তিনি।