আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// বাড়তি শুল্ক থাকছে না, কমবে মোবাইল খরচ

বাড়তি শুল্ক থাকছে না, কমবে মোবাইল খরচ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৮, ২০২০ , ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :   সাম্প্রতিক বাজারে মোবাইল ফোনের ওপর ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবের পরপরই গত ১১ জুন রাত থেকে মোবাইল সেবার বিপরীতে গ্রাহকদের বাড়তি অর্থ কাটা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা হওয়ায় মোবাইল ফোনের ওপর খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আগে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরণের সেবার জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ সারচার্জের ছাড়াও সম্পূরক শুল্প ছিল ১০ শতাংশ। সব মিলিয়ে একজন মোবাইল ব্যবহারকারী ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স পেত ২২ টাকা ৭২ পয়সা।

তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট-সারচার্জ হার অপরিবর্তিত রেখে বাড়ানো হয় সম্পূরক শুল্ক। নতুন করে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় বর্তমানে কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ নিয়ে নেয় ২৫ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে সাধারণ মানুষ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। বিভিন্ন মহল থেকেও এর প্রতিবাদ করা হয়েছিল এবং মোবাইল ফোনে খরচ না বাড়ানোর দাবি করা হয়েছিল।

দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র গত শুক্রবার এক খবরে জানিয়েছে, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি থেকে সরে আসতে যাচ্ছে সরকার। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানেই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। অর্থবিল পাসের দিন এটি সংশোধন করা হতে পারে।

এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবির চিফ কর্পোরেট অফিসার শাহেদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা প্রভিশনাল কালেকশন অব ট্যাক্সেস অ্যাক্টের অধীনে সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নের বিধান রয়েছে। এজন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চূড়ান্ত বাজেটে সরকার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানে নিয়ে গেলে অপারেটরগুলোও বাড়তি কর কাটা বন্ধ করে আগের নিয়মে ভ্যাট-সম্পূরক শুল্ক আদায় করবে।

তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের পর গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত যে অর্থ কর হিসেবে আদায় করা হয়েছে তা আইন অনুযায়ী সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হবে। এ অর্থ মোবাইল অপারেটরদের কাছে রাখার সুযোগ নেই।