১৪ বছরে ৫৩৫ নৌ-দুর্ঘটনা, ৬ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৩০, ২০২০ , ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ১৪ বছরে দেশে ৫৩৫টি নৌ-দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর জন্য দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের শাস্তি নিশ্চিতে ব্যর্থতা, তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করা, ফিটনেস বিহীন নৌ-যান চলাচল, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ নানা কারণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি, নিরাপদ নৌ-পথ নিশ্চিতে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
২০১৪ সালের ৪ আগস্ট। পদ্মার বুকে স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চডুবি। ঈদ পরবর্তী সময়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করে তোলা হয় যাত্রী। ভরা বর্ষায় উত্তাল পদ্মায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬।
শত প্রাণের এমন ডুবে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এমভি রাজহংসী, সালাউদ্দিন-২, এমভি নাসরিন -১ অথবা এমভি লাইটিংসান। কালের পরিক্রমায় নামগুলো হয়তো ভুলেও গেছেন অনেকে। এই তালিকায় নতুন নাম মর্নিং বার্ড-। সোমবার (২৯ জুন) সকালে, ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গায় যাত্রীসহ ডুবে যায় লঞ্চটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লঞ্চডুবির প্রায় প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও বাস্তবায়ন হয় না সুপারিশ। যদিও, নৌ-প্রতিমন্ত্রীর দাবি, সুপারিশ বাস্তবায়নে সচেষ্ট তারা। নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয় এখানে আমাদের সংবাদে দুর্বলতা আছে। তদন্ত কমিটি যখন হয় তখন পর্যন্ত আমরা এটার সাথেই থাকি।
নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আনোয়ার বলেন, তদন্ত কমিটি হয় অনেক ব্যক্তিত্বে। আজকে একজন কালকে আরেকজন। দুর্ঘটনা রোধে নৌযানের নকশাগত ত্রুটি, অদক্ষ ইঞ্জিন অপারেটর, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন ছাড়াও বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক বলেন, যারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে চালকরাও সচেতন হত।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রি. জে. আলী বলেন, যারা চালনা করবে তাদের অভিজ্ঞতা আছে কিনা, দক্ষতা আছে কিনা সব কিছুই তদারকি করতে হবে। সরকারি হিসাব বলছে, দেশের ৩৫ ভাগ মানুষ নৌ-পথে যাতায়াত করেন।