চাপের মুখে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২, ২০২০ , ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : সীমান্তে বিতর্কিত ভূখণ্ড নিজেদের মানচিত্রে যুক্ত করা নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে, ঠিক তখনই দেশে নিজ দলের ভেতরে কে. পি শর্মা অলির পদত্যাগের দাবি উঠেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলার পর মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। দলের কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কামাল দহল, মাধব নেপাল, ঝালানাথ খানাল ও বামদেব গৌতমসহ জ্যেষ্ঠ আরও কয়েকজন নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী অলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এরকম প্রচণ্ড চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। খবর ফাস্পর্ট পোস্টের।
বুধবার বুকে যন্ত্রণা অনুভব করায় তাকে দেশটির শহীদ গঙ্গালাল ন্যাশনাল হার্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সূর্য থাপা অবশ্য টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে সর্বশেষ মার্চ মাসের শেষ দিকে ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই সময় হার্ট রেট বেড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার চিকিৎসক ডা. দিব্য সিং জানান তাকে ওই হাসপাতালের মহমোহন কার্ডিওথোরাকিক ভাস্কুলার অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এছাড়া মার্চের শুরুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। তার ৩২ বছর বয়সী ভাতিজি সমীক্ষা সাংরাওলা কিডনি দান করেন। এছাড়া গত বছর নেপালের প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে প্লাজমাথেরাপি গ্রহণ করেন।
নেপালে এখন অলির পদত্যাগের দাবি তীব্রতর হচ্ছে। শুধু বিরোধীরা নন, শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিরে ভেতরেও এখন অলি-বিরোধী হাওয়া। দলের অনেক প্রবীণ নেতাই কেপি শর্মা অলিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন না। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয়ার জন্য অলির উপর চাপ বাড়ছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী পদ নন, অলিকে পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথাও উঠেছে। স্বাভাবিক কারণেই চাপে পড়েছেন অলি।