বেড়েছে সবজির দাম : কাঁচামরিচের কেজি ১২০
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৫, ২০২০ , ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অন্যান্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সবজির আবাদ। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলার অনেক সবজিখেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সবজির বাজারে। ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। কিন্তু চাহিদা তো কমেনি, বরং করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে সবজির চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে। কারণ করোনা পরিস্থিতির জন্য অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা মাছ-মাংস নয়, সবজির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
রাজধানীর শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার নুতন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের সবজির দাম চড়া। বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে কাঁকরল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা-চিচিঙ্গা-পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টম্যাটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ও বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। লাউ ও কুমড়া আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। অথচ দেড়-দুই মাস আগেও এসব সবজি পানির দরে বিক্রি হয়েছে। তখন সবজিচাষিরা ক্রেতা না পাওয়ায় খেত থেকেই সবজি তোলেননি। কারণ সবজি বিক্রি করে তখন শ্রমিকের মজুরিই ওঠেনি।
সবজির দাম বেশি প্রসঙ্গে রামপুরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, বন্যার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি আসা কমে গেছে। সেখানে অনেক সবজিখেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এজন্য সবজির দাম বেড়েছে। তবে নতুন করে আর ডিমের দাম বাড়েনি। বাজারে প্রতি হালি ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হয় ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।
চালের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের চালের মধ্যে মোটা চাল ইরি-স্বর্ণা ৩৮ থেকে ৪৮ টাকা, সরু চাল নাজিরশাইল-মিনিকেট ৫২ থেকে ৬৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চাল পাইজাম-লতা ৪৫ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।