আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সম্পাদকীয় ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ : বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে হবে

ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ : বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে হবে


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০২০ , ২:১২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়


ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার সময় নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং মেধাকে কাজে লাগানোর বিষয়কে। এ পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। ২১টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ‘ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল’ গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন করে ১ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই গভর্ন্যান্স কাউন্সিল প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি নিয়ে আসবে। এখন থেকেই যদি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করি। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বন্যা, নদীভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে আলোচিত ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদীভাঙন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন শুরু হলে প্রথম পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ১.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এ পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলাসহ ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে বদ্বীপ পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে। সরকার বলছে, পানিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে কৃষিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। সরকারের এমন জোরালো মনোভাবে আমরাও আশান্বিত হতে চাই। দুনিয়ার যেসব দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তবে টেকসই দেশ গড়ার লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা খুবই জরুরি। বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন প্রধান নগরে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ অবস্থায় ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়নে আশার আলো দেখি। আমরা আশা করব সরকার শত বছরের মহাপরিকল্পনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। একটি বাসযোগ্য দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।