চাঁদপুরে নদী গর্ভে নব-নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৮, ২০২০ , ১২:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে নব-নির্মিত সাইক্লেন সেন্টারটি মেঘনার ভাঙনের মুখে রয়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে আসা বন্যার পানির প্রবল স্রোতে কয়েকদিন নদী তীরে ভাঙন দেখা দেয়।
দৃষ্টিনন্দন ৩-তলা বিশিষ্ট রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারটি মাসখানেক আগে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত কয়েকদিন নদীতে ভাঙন দেখা দিলে শতাধিক বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরো বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।
ইউপি সদস্য পারভেজ গাজী রণি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর তদারকির দায়িত্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছিলেন। ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি ৭/৮ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় ২কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এই ভবনটির সাইড সিলেকশনের সময় নদী ১৫ কি. মি. দূরে ছিল। মন্ত্রীর নির্দেশে খুব দ্রুততার সাথে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করি। দু’মাস আগে কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। নবনির্মিত ভবনটিতে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ফণীর সময় বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, জোয়ার শেষে ভাটার সময়েই ভাঙন শুরু হয়। তবে এবারই ভাঙনের ভয়াবহতা দেখা গেছে। এবছর শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ এলাকার মেঘনায় ভাঙনরোধে বাঁধ দেয়ায় রাজরাজেশ্বরের দিকে পানির স্রোত ও প্রবাহ বেড়ে গেছে। ফলে ওই জেলায় দেয়া বাঁধের ধাক্কা খাওয়া স্রোত রাজরাজেশ্বরে পাড়ে আঘাত হানছে। আমরা চাই ভিটেমাটি রক্ষায় এখানে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, উজান থেকে প্রবল বেগের পানি, চাঁদপুরের নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচন্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হয়। যার কারণে বর্ষায় নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে থাকে। গত কয়েকদিনের ভাঙনে ইউনিয়নের রাজারচর, খাসকান্দি, জাহাজমারার বেশ কয়েকটি গ্রামের অংশিক নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। শতাধিক বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৫শ’ বাড়িঘর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, ভাঙন শুরু হবার আগেই আমরা সাইক্লোন সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ মানু্ষরে বাড়িঘর রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছি।