পুরোপুরি বন্ধ হলো শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ির তিনটি চ্যানেল
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০ , ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : পদ্মার ভাঙন আর নাব্য সংকটে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রায় এক দশক ধরে চালু থাকা শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটের প্রধান তিনটি চ্যানেলই। তবে রুটটি চালু রাখতে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের উজানে চরচন্দ্রা-হাজরা চর কেটে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করছে বিআইডব্লিউটিএ। চ্যানেলটি দিয়ে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ রুট পাড়ি দিতে আগের মতো একই সময় লাগবে।
বলা হয়ে থাকে ভয়ংকর এ্যামাজনের পরই সবচেয়ে স্রোতস্বীনি ও ক্ষিপ্র ঘোলা জলের নদী হলো পদ্মা। কখন ভাঙবে আর কখন গড়বে. এ নদী নিয়ে তা ধারণা করাও অসম্ভব।
পদ্ম নদীর শিমুলিয়া কাঠালবাড়িয়া নৌরুটে যতগুলো চর রয়েছে সবগুলোতে ভাঙ্গন ধরেছে। নদীপথ সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলো বলছে, একদিকে নেমে আসা উজানের পানির সাথে পলি ও চর থেকে পড়া বালুর কারণে শত ড্রেজিং করে নাব্য সংকট কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।
ফলে প্রায় ২ মাস ধরে অচলাবস্থা চলছে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ রুটের ফেরি চলাচলে। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায়, ১০ বছর আগে পদ্মা সেতুর জন্য নির্ধারিত জায়গায় নদী বিশাল প্রশস্ত থাকলেও চর পড়ে এখন তা সরু হয়ে গেছে। আবার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটের উজানে বিশাল চর ভেঙে নদীকে প্রশস্ত করেছে। গবেষকরা বলছেন, পদ্মার উজানের ২০ কিলোমিটার ভাঙনের সব পলি শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে জমায় ড্রেজিংয়ে সফলতা আসছে না। বিআইডব্লিউটি এর পরামর্শক সংস্থার সিনিয়র স্পেশালিষ্ট এ টি এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা যে চরটায় দাঁড়িয়েছিলাম সে জায়গাটা ২০১০ সালে ছিলো না। এটা ছিলো চ্যানেল। এখন এটা ভাঙতে ভাঙতে প্রায় ৩/৪ কি.মি ভেতরে চলে আসলো। আমি সকালে দেখছি ২০ ফিট বিকালে এসে দেখছি ৮ ফিট পানি।’
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, চালু থাকা লৌহজং, বিকল্প ও চায়না তিনটি চ্যানেলই আর সেভাবে চালু করা হয়তো সম্ভব হবে না। তাই চরচন্দ্রা-হাজরা নামের একটি চর কেটে অক্টোবর মাসের আগেই নতুন একটি চ্যানেল চালুর কাজ চলছে। হাজরা চ্যানেল চালু হলে পদ্মা সেতুও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত থাকবে বলে জানায় সংস্থাটির প্রধান।
বিআইডব্লিউটি এর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘চরচন্দ্রা-হাজরা চ্যানেলটার দৈর্ঘ্য দুই হাজার ফিট এর মত হবে। এবং পাশে পাঁচশ ফিট ডেপথ অফ কার্ড আছে ত্রিশ ফিটের মত। এখানে আমরা আনুমানিক হিসাব করে দেখেছি যে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং করার প্রয়োজন হতে পারে। আমরা আশা করছি যে ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। এটা সম্পূর্ণ একটা নতুন চ্যানেল হবে।’
এখানে সরাসরি ৯০ ডিগ্রিতে পদ্মা সেতু ক্রস করতে পারছেন সুতরাং পদ্মা সেতুর পিলারের সাথে ধাক্কা খাওয়ার আশংকা থাকছে না। চারটা বিষয় বিবেচনা করে আমরা দেখেছি সবচেয়ে সহজ হবে হাজরা চ্যানেল মেইনটেইন করা।’ তবে পদ্মা সেতুর চালুর আগে এ রুটের যাত্রীদের ভোগান্তি পুরোপুরি কাটবে না বলে মনে করেন তারা।