কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় তীব্র ভাঙন
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০ , ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় হঠাৎ করে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি সড়কের আমরাজুড়ি-আশোয়া ফেরিঘাট।
সন্ধ্যার কড়ালগ্রাসে এখন দুই পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের তুমুল বৃষ্টিপাতে ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়ছে বলে এলাকাবাসী জানান।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব আমরাজুড়ি, আশোয়া গ্রাম ও সোনাকুর ফেরিঘাট এলাকা ভাঙন কবলিত। প্রতিদিন সন্ধ্যা ও গাবখানের গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার কৃষি জমি আর মানুষের বসতি। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে আমরাজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব) ও আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমড়াজুড়ি বাজার। গন্ধর্ব জানকীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার আশপাশজুড়ে চলতি বর্ষা আর জোয়ারের প্লাবনে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ফেরিঘাট মসজিদ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভাঙনের তীব্রতায় আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ভাঙনে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি রুটের গাবখান চ্যানেলের আমরাজুড়ি ফেরিঘাট যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ফেরিঘাটের সুপারভাইজার শাহ আলম জানান, একযুগ ধরে কাউখালীর সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর মোহনায় ভাঙন চলছে। সম্প্রতি এ এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়ায় ফেরিঘাটটি বিলীনের মুখে পড়েছে।
দুই বছরে ঘাট দুটি ২০ দফা স্থানান্তর করা হয়েছে। আমরাজুড়ি ফেরিঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নদী ভাঙন সচেতনতামূলক কাজ করে উপজেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আ. লতিফ খসরু জানান, আমরাজুড়ি মূলবাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝখানে। ইতোমধ্যে ফেরিঘাট, বাজারের অন্তত ৫০টি দোকান ও কয়েকশত বাড়ি-ঘর বিলীন হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে ঘাট, বাজার ও বাড়ি-ঘর রক্ষা করা যাবে না।
আমড়াজুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সেখ সামসুদ্দোহা চান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রতিদিন এ জনপদের মাটি, স্থাপনা ও বৃক্ষরাজি সন্ধ্যার করালগ্রাসে চলে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।