স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস শুরু হোক
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ৩০, ২০২১ , ২:৫৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারো বাড়ানো হলো। নতুন করে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৫ কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাসূচি এলোমেলো হয়ে গেছে। এক দশক ধরে পূর্বনির্ধারিত শিক্ষাসূচি অনুযায়ীই চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। দীর্ঘ এই ক্ষতি কীভাবে পোষানো হবে তার বিশ্লেষণ করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার, যা আজ অবধি চালু হয়নি। এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে পিএসসি, জেএসসি, এইচএসসি এবং সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। এই দীর্ঘ সময় অনলাইনের পাশাপাশি টেলিভিশনে তৃতীয় থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠদানের চেষ্টা হয়েছে। অনেক স্কুল আবার নিজেদের ফেসবুক বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিদিনকার ক্লাসগুলো আপলোড করে দিয়েছে। যদিও অনলাইন বা বিকল্প শিক্ষাদান পদ্ধতি সারাদেশের শতভাগ শিক্ষার্থীকে আনা যায়নি। আর এসব কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। তবে অনলাইনের অপর্যাপ্ত শিক্ষাদান, শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া না থাকা, সিলেবাস অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক পাঠ কার্যক্রম পরিপূর্ণ শেষ না হওয়ার জের ধরে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানÑ সর্বত্রই শিক্ষায় একটি বড় ঘাটতি থেকে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে এর মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে খোলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। মাউশি বলছে, শুধু করোনাকালীন সমস্যা মোকাবিলা নয়, বরং মুজিববর্ষ উপলক্ষে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আনন্দময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু হবে না। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে ক্লাস শুরু করা হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকার কোটি কোটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে চায়। তবে একই সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খোলার পথ বেরও করতে চায়। খুললে কীভাবে শিক্ষার্থীসহ সবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে তার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব ঘোষণা করা প্রয়োজন। এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা প্রশাসন ও বেসরকারি সংগঠনকে যুক্ত করে প্রস্তুতি নিতে হবে, সেই ব্যবস্থা মনিটরিং করতে হবে।