ভ্যাকসিন না পেয়ে কেউ ফিরে যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১ , ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ভ্যাকসিন না পেয়ে কেউ ফিরে যাবে না। সারা বছর ধরে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী সকলকে নির্ভয়ে করোনা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে সুশৃঙ্খলভাবে করোনাভাইরাস টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামারদের ব্যবস্থাপনায় কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ তৈরি করেছে করেছে সরকার। টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (এখানে ক্লিক করুন) গিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে।
তবে দেশের জনগণের একটি বড় অংশ স্মার্টফোন ব্যবহার না করায় তাদের পক্ষে এই নিবন্ধন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের।এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, টিকাদানের আগে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারলে টিকাগ্রহীতার সব তথ্য রেখে দেওয়া হবে, স্বাস্থ্যকর্মীরা পরে তা ডেটাবেইজে তুলে দেবেন। মন্ত্রী শুক্রবার রাতে বলেন, নিবন্ধন করতে পারেনি, কিন্তু কেন্দ্রে আসছে, তাদের ফেরত দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে তাদের নিবন্ধন করিয়ে টিকা দেওয়া হবে। যদি নিবন্ধন করতে দেরি হয় তাহলে টিকা দেওয়া হবে, পরে ডেটা এন্ট্রি করা হবে। আমরা কাউকে ফেরত দেব না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে টিকা গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে ভূমিকা রাখবেন এবং টিকা নিতে ইচ্ছুকদের শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে এলেই কাজ হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সরকারের টিকাদান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করার পর সেখানে দেওয়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের তারিখ ও কেন্দ্র জানিয়ে দেওয়া হবে। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে যথাসময়ে মোবাইলে এসএমএসেই দ্বিতীয় ডোজের কথাও জানিয়ে দেওয়া হবে।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরে না যাওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম।গত ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, কারণ আমাদের সমস্ত ডেটাগুলো একসঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে, এটা অ্যানালাইসিস করতে হবে। পরবর্তীতে আমরা এই ডেটাগুলোকে অনেকগুলো কাজে লাগাতে পারব। ভবিষ্যতে ভ্যাক্সিনেশনের ক্ষেত্রে আমরা এটাকে রোল মডেল হিসেবে ধরে নিয়ে এগোতে পারব। কাজেই আমরা ডিসকারেজ করব। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী হবে, সেটা আমরা জানি না। তবে আমরা এখন পর্যন্ত বলছি, আমরা এর বাইরে কাউকে অ্যালাউ করব না।