কাদের মির্জার ডাকে চলছে হরতাল
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১ , ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও ওসি তদন্তের প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ১২ ঘণ্টার বেশি থানা ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। পাশাপাশি তাঁর ডাকে আজ বুধবার সকাল থেকে উপজেলায় চলছে হরতাল। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে কাদের মির্জা থানার ফটকে অবস্থান করছেন। হরতালের কারণে উপজেলার দোকানপাট সব বন্ধ আছে। কোনো যানবাহন কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে পারছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফেনীর দাগনভূঞা ও চট্টগ্রামে তাঁর ওপর হামলা ও তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বসুরহাট রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অভিযুক্ত করেন।
সূত্র জানায়, এই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে উপজেলার টেকেরবাজারে আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে একটি সমাবেশ করেন চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম ওরফে সবুজ। কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছেন উল্লেখ করে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। সমাবেশ শেষে সেখানে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সমাবেশের খবরে কাদের মির্জার একদল সমর্থক টেকেরবাজারে যান। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ফখরুল ইসলামকে আটক করেন। এ সময় সমর্থকেরা পুলিশের কাছ থেকে ফখরুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কাদের মির্জা রাত সাড়ে আটটার দিকে কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি নোয়াখালীর ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, এসপি আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের ওসি মীর জাহেদুল হক ও ওসি (তদন্ত) রবিউল হককে প্রত্যাহারের দাবি জানান। পাশাপাশি সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।