মিয়ানমারে বিক্ষোভে নিহত ৫০০ ছাড়িয়েছে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৩০, ২০২১ , ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সংঘাতে নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৫০০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) এ তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স, নিউজ এশিয়া। এএপিপি জানিয়েছে, তারা ৫১০ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও অনেক বেশি।শনিবার ছিল মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এদিন বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১৪ জন নিহত হয়। ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর একদিনে এটিই সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বর্মি সামরিক বাহিনীর এ হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার্মার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। এদিকে একদিনে শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার দিনে জমকালো ডিনার পার্টি আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থানের নেতারা লাল কার্পেটের ওপর দিয়ে অভ্যাগত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।
রাজপথে বিপুল পরিমাণ রক্তক্ষয়ের পর রাতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জমকালো ডিনার পার্টিতে সমবেত হন সেনা কর্মকর্তারা। বিক্ষোভকারীদের রক্তাক্ত করে কর্মকর্তাদের এমন ডিনার পার্টি আয়োজনের নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কথা বলে উঠেছে। জাতিসংঘের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তাও মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডকে হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে খুন, লজ্জাজনক ও নৃশংস বলে আখ্যা দিয়েছেন। গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যালিস ওয়েইরিমু এনদেরিতু এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে প্রাণঘাতী ও ব্যাপক অভিযান চালানোর নিন্দা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।