সর্বাত্মক লকডাউনেও পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৫, ২০২১ , ১২:৪৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : সর্বাত্মক লকডাউনে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে চলছে স্বাভাবিক লেনদেন। উভয় পুঁজিবাজারে কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৫০ শতাংশের উপস্থিতিতে চলছে লেনদেন কার্যক্রম। আজ (বৃহস্পতিবার) শুরু থেকেই স্বাভাবিক লেনদেন হতে দেখা গেছে পুঁজিবাজারে। উভয় বাজারে সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। গতকাল বুধবার সর্বাত্মক লকডাউনে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা যেন সহজে নিজ কর্মস্থলে যেতে পারেন, সেজন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথমে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ জারি হলে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করতে ব্রোকারেজ হাউজের কর্মীরা যাতায়াতে কোনো সমস্যায় পড়েননি। সে সময়ে আসলে পুলিশ কাউকে বাধা দেয়নি। তবে এবার কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কারণে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ ছিল। কারণ, পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকার যে তালিকা দেয়া হয়েছে, তাতে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কথা লেখা ছিল না। এই অবস্থায় বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হোসেন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি পুঁজিবাজার চালু থাকবে। বিএসইসি ও পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আজ ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। লেনদেনে সাতটি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া দুটি হচ্ছে এইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড এবং ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। উভয়ের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ।
এ ছাড়া এ তালিকায় আছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিকে আজ দাম বেড়েছে দামি ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের। এ সময়ে রেকিডবেনকিউজার শেয়ারদর বেড়েছে ৬১ টাকা ১০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ৪ হাজার ৬৪৮ টাকায়। ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা। লেনদেন হচ্ছে ২ হাজার ৮১৫ টাকায়। ম্যারিকো লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২ হাজার ৫৫ টাকায়। বার্জার বাংলাদেশের প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ২৫ টাকা ৮০ পয়সা। রেনাটা লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।