দিনের শেষে প্রতিবেদক :  বেশ পরিচিত একটি ফল নাশপাতি। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু আবার এতে আছে অনেক পুষ্টিগুণও। কয়েক ধরনের নাশপাতির চাষ বিশ্বজুড়ে, তবে এটি বেশি পাওয়া যায় এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকাতেই। নাশপাতিতে ভিটামিন এ, সি, ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রচুর আয়রন ও কপার অস্টিওপোরোসিস থাকে। আমাদের শারীরিক গঠনে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে এসব উপদান।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, বি ২, ই, ফলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিন পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে নাশপাতিতে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ অন্যান্য মিনারেলেরও উৎকৃষ্ট একটি উৎস। শুধু তাই নয়, নাশপাতিতে চর্বি এবং ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম এবং আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে নাশপাতি উৎপাদিত হলেও সম্প্রতি এর খাদ্যগুণ দৃষ্টি কেড়েছে সবার।

ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে নাশপাতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও দূর করে ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, কোলন ও রেকটাম ক্যানসার । নাশপাতির কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে হাড় মজবুত রাখে।

নাশপাতিতে থাকে প্রচুর আয়রন ও কপার, যা ভালো ভূমিকা রাখে অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসায় । শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়লে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংস পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।

শরীরে নানা ধরনের ক্যানসার রোধ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন সি সাহায্য করে। ভিটামিন সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।