বগুড়ায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কেনাকাটার ধুম
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৫, ২০২১ , ৩:০২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় শহরের মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যারা কেনাকাটা করতে আসেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন নারী। ক্রেতাদের বেশির ভাগই মাস্ক পরা ছিলেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বিক্রেতারা।
দুপুর ১২টায় শহরের নিউ মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশ পথে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক স্প্রে সংবলিত গেট স্থাপন করা হয়েছে। তার ভেতর দিয়ে ক্রেতারা প্রবেশ করছেন। তবে এদিন কাপড় এবং স্বর্ণালংকারের দোকানগুলোতেই তাদের বেশি কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। এ সময় প্রায় সব ক্রেতার মুখেই মাস্ক দেখা গেছে। তবে ক্রেতাদের তুলনায় এবারও বিক্রেতাদের অসচেতন মনে হয়েছে। প্রায় প্রতিটি দোকানের সামনে কাগজের ওপর ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ লেখা ঝুলতে দেখা গেলেও অনেক দোকান মালিক-কর্মচারীর মুখে মাস্ক ছিল না।
বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকা থেকে আসা ক্রেতা মাশহুরা খাতুন জানান, ঈদের পর তার এক নিকটাত্মীয়ের বিয়ের জন্য তিনি গহনা কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, জুয়েলারি দোকানগুলোর মালিক-কর্মচারীরা মাস্ক পরলেও আশপাশের কাপড়ের দোকানে বসে থাকা কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন শহরের সূত্রাপুর এলাকার গৃহবধূ বিউটি বেগম। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ কাপড়ের দোকানের মালিক-কর্মচারীরা এখনো অসচেতন। আমাদেরই বলে বলে তাদের মাস্ক পরাতে হচ্ছে।’ নিউ মার্কেটের আফজাল ক্লথ স্টোরের মালিক মামুন জানান, মার্কেট খুললেও প্রথম দিন তেমন বেচা-কেনা ছিল না। তিনি বলেন, ‘হয়তো আরো দু-একদিন বাদে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়বে।’ বৃহত্তর নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতি বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান, মার্কেটের চারটি প্রবেশপথে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক স্প্রে সংবলিত গেট স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি দোকান মালিক ও কর্মচারীরা যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচা-কেনা করেন সে বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছি। তার পরেও কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করছেন কি না সেগুলো আমরা মনিটর করব।’
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে চলা বিধিনিষেধের কারণে জেলায় করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলি তাহলে সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। সেজন্যই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।