আড়ানী-বাগাতিপাড়া ১ কিলোমিটার সড়কের করুণ অবস্থা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২২, ২০২১ , ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়কের করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কের অসংখ্য স্থানে খানাখন্দের কারণে কাদাপানির সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে চলাচল করতে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। ওই সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিকশা-ভ্যানও যেতে চায় না। ওই অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ ছাড়া গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে নুরনগর ভাঙা সাঁকো এলাকায় বালুভর্তি একটি ট্রাক নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশ দিয়ে আরেকটি ট্রাক পার হতে গিয়ে কাদায় আটকে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চলাচলকারীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
জানা যায়, আড়ানী রেলস্টেশনের নুরনগর খয়েরমিল রেলগেট থেকে বাঘা উপজেলার সীমান্ত পাকা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার অসংখ্য স্থানেই খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচোরা সড়কে সার্বক্ষণিক কাদাপানিতে পরিণত হয়ে যায়। শুকনোর সময়ে ধুলাবালিতে সড়কের ধারে বসবাসকারী ও পথচারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।
পাকা ইউনিয়নের মাকুপাড়া গ্রামের খোদা বক্র বলেন, আমার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলায় হলেও এই অঞ্চলের সব মানুষ আড়ানী বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করেন। এ সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাকা ক্লিপ করে আমার ডান হাতে আঘাত লেগে অনেক দিন ভুগতে হয়েছে। বাড়ির ছোট হোক বড় হোক কাজে যেতে হয় ওই সড়ক দিয়ে আড়ানী বাজারে। বাগাতিপাড়া থেকে আড়ানী বাজারে যাওয়ার জন্য একমাত্র এ সড়কটি।
দয়ারামপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ৫-৬ জন মিলে একসঙ্গে গরুর ব্যবসা করি। প্রতি বুধবার ভটভটি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে আড়ানীর রুস্তপুর হাটে যেতে হয়। এই হাট থেকে একদিন চারটি গরু ক্রয় করে নিয়ে ভটভটিতে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় খয়েরমিল সাঁকোর কাছে ভটভটি উল্টে গিয়ে গাড়িতে থাকা আমরা পাঁচজনই আহত হই। এ ছাড়া গরুগুলোর অবস্থাও গুরুতর। পরে আমাদের ও গরুগুলোকে চিকিৎসা করে সেরে উঠতে বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। প্রায়ই এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তার কাছে দাবি জানান তিনি। এই সড়কে অটোরিকশাচালক রেজাউল করিম বলেন, খানাখন্দের কারণে এই সড়কে বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। ফলে অনেকেই আহত হচ্ছেন।
আড়ানী এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বিপ্লব হোসেন বলেন, আমার বাড়ি মাকুপাড়া গ্রামে। আমার কলেজে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। বিকল্প কোনো সড়কও নেই। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বড় কষ্টে আছি। সারা দেশে উন্নয়ন হচ্ছে অথচ এই সড়কের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না।
বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, এই সড়কটি তিন বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নেওয়া হয়েছে। তাই সড়কটি সম্পর্কে বর্তমানে কিছু জানা নেই।
এ বিষয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সড়ক উপ-বিভাগ-১, রাজশাহী মো. নাহিনুর রহমান বলেন, এই সড়কটির বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। নতুন একটি প্রকল্প হচ্ছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে সংযোজন করে সড়কটির কাজ করা হবে।