আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য কঠোর লকডাউনে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলা

কঠোর লকডাউনে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খোলা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৭, ২০২১ , ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক লকডাউন আগামী সোমবার নয়, ১ জুলাই বৃহস্পতিবার শুরু হবে। কঠোর এই লকডাউনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। তবে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা কী হবে, তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পোশাক কারখানাসহ শিল্পকারখানা চালু থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে শনিবার রাতে অনলাইন মাধ্যমে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। বৈঠক সূত্র জানায়, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে কিছু বিষয় খোলা থাকবে। আর ১ জুলাই থেকে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখলে শ্রমিকেরা গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেবে। তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। আমাদের ৯০ শতাংশ শ্রমিকই গণপরিবহন ব্যবহার করে না, তারা কারখানার আশপাশে থাকে।
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, করোনার প্রথম থেকেই সুশৃঙ্খলভাবে পোশাক কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। বিষয়টি বৈঠকে প্রশংসিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া লকডাউনেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পোশাক কারখানাসহ শিল্পকারখানা চালু থাকবে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ২৮ জুন সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। এ সময় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সরকারের এই তথ্য বিবরণীর পর থেকেই কঠোর লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু থাকবে কি না, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারাও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছিলেন না। তাঁরা সরকারকে কারখানা খোলা রাখতে অনুরোধ করেন। সরকার কী নির্দেশনা দেয়, তার দিকে তাকিয়ে ছিলেন নেতারা। অবশ্য গত এপ্রিলের মাঝামাঝি শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যেও শিল্পকারখানা চালু ছিল।
এদিকে, গত এপ্রিলের পর লকডাউনে কখনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি। বন্ধ হয়নি পুঁজিবাজার। বরং লকডাউন কড়াকড়ি হওয়ার পর ব্যাংকের সময় বাড়ানো হয়েছে এবং পুঁজিবাজারের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।